রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
একদিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশের নীচে। আর অন্যদিকে, মুদ্রাস্ফীতির হার ক্রমেই অগ্রসর হচ্ছে ৮ শতাংশের দিকে। এই দ্বিমুখী সঙ্কটে এখন বাজেটের প্রধান লক্ষ্যই হয়ে উঠছে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানো। আর তাই আর্থিক সংস্কারে কতটা সাহসী হওয়া সম্ভব, তা নিয়ে আচমকা জল্পনা তুঙ্গে। অর্থনীতির সঙ্কটের অন্যতম কারণই হল গ্রাম ও শহরে ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া। একইভাবে শিল্প সম্ভাবনাও তলানিতে। এই অবস্থায় বাজেট নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী অনেক বেশি সময় ব্যয় করছেন বলে সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন মন্ত্রী ও আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ধরে বৈঠক করছেন। অর্থমন্ত্রকের উপরই শুধু দায়িত্ব ছেড়ে না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরও অন্য মন্ত্রকগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে কোন সেক্টরে আরও বেশি জোর দেওয়া যায় সেটাই দেখছে। বাজেটে সব থেকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উপর।
প্রসঙ্গত এবার প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে বাজেট নিয়ে অনেক বেশি সংখ্যক কনসাল্টেশন মিটিং করতে দেখা যাচ্ছে। আগে শিল্পমহলের সঙ্গে দুটি বৈঠক করতেন তিনি। এবার বিভিন্ন সেক্টর ধরে ধরে পৃথক বৈঠক করছেন। পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থার সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। এমনকী সরকারি অথবা দলীয় যে কর্মসূচিতে মোদি রাজ্যে রাজ্যে যাচ্ছেন, সেখানেও ওই মূল কর্মসূচি ছাড়াও স্থানীয় যে শিল্পটির জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে খ্যাতি, চাহিদা ও ব্র্যান্ডনেম আছে, সেই শিল্পসংস্থার সঙ্গেও কথা বলছেন। কিন্তু এতদিন যে উদ্বেগ আবর্তিত হয়েছে শুধুই শিল্পকে কেন্দ্র করে, এবার তীব্র মূল্যবৃদ্ধি নতুন আতঙ্ক নিয়ে এসেছে।
আজ কেন্দ্রীয় খাদ্য বিপণনমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান বলেছেন, আমরা নজর রাখছি মূল্যবৃদ্ধির উপর। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, পেঁয়াজ আমদানির ফলে দাম কমেছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে সব্জি থেকে নিত্যপণ্য প্রতিটি খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশ স্পর্শ করলেও, এখনও কোনও দিশা নেই সরকারের কাছে। অন্তত কোনও দ্রুত সুরাহার বার্তা আজও দিতে পারেননি মন্ত্রী।