কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
কাশী গিয়েছেন আর বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দেননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। ১৭৮০ সালে ইন্দোরের মহারানি অহল্যাবাঈ হোলকারের আমলে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত বিশ্বনাথ মন্দিরে দর্শনের প্রথাও শতাব্দীপ্রাচীন। কিন্তু গত বছর শ্রাবণ মাস থেকে এই প্রথায় ছেদ পড়েছে। মূলত সেই সময় তীর্থযাত্রীদের ব্যাপক ভিড়ের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্দির প্রশাসন। শ্রাবণ মাস চলে যাওয়ার পরও সেই প্রথা পুনরায় চালুর বিষয়টি বারবার এড়িয়ে যাচ্ছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল ভক্তদের মধ্যে। একরকম বাধ্য হয়েই স্পর্শ-দর্শনের জন্য মাত্র ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বরাদ্দ করা হয়। বিপুল ভক্ত সমাগমের পক্ষে যা আদৌ যথেষ্ট নয়। অন্যদিকে, আগত সমস্ত দর্শনার্থীকে স্পর্শ-দর্শনের সুযোগ করে দেওয়াও সম্ভব নয়। ভক্তদের আবেগের কথা ভেবে বেশ কিছু দিন ধরে এই সমস্যার পাকাপাকি সমাধানের পথ খুঁজছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ।
সেই উপলক্ষেই গতকাল বৈঠকে বসেছিল কাশী বিশ্বনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং বিদ্বত পরিষদ। মন্ত্রী নীলকণ্ঠ তিওয়ারি এবং বিভাগীয় কমিশনার দীপক আগরওয়ালও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে পোশাক-বিধি চালুর সুপারিশ করে বিদ্বত পরিষদ। সিদ্ধান্ত হয়, জিন্স, টি-শার্ট, টপ, প্যান্ট-শার্ট পরিহিত ভক্তদের গর্ভগৃহে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। তাঁরা শুধু দর্শন করতে পারবেন। স্পর্শ-দর্শনের জন্য ধুতি-পাঞ্জাবি এবং শাড়ি পরে আসা বাধ্যতামূলক। পোশাকবিধি চালুর জন্য বিভাগীয় কমিশনারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন মন্ত্রী নীলকণ্ঠ তিওয়ারি। শুধু তাই নয়, চিরাচরিত ভারতীয় সংস্কৃতির পোশাক পরিহিত ভক্তদের জন্য স্পর্শ-দর্শনের সময় বাড়ানোর আর্জিও জানান তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, মকর সংক্রান্তির পর থেকেই এই নতুন নিয়ম চালু হয়ে যাবে কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরে। মঙ্গলারতি থেকে দুপুরের আরতি পর্যন্ত স্পর্শ-দর্শনের সময় এই প্রথা চালু থাকবে। ২০০০ বছরের প্রাচীন এই বিশ্বনাথ মন্দির। প্রথমে সম্রাট কুতুবউদ্দিন আইবক, পরে ঔরঙ্গজেব এই মন্দির ধ্বংস করেছেন। কিন্তু দু’বারই পুনরায় গড়ে ওঠে মন্দিরটি। কিন্তু মন্দিরে প্রবেশের জন্য পোশাকবিধি চালু করার প্রয়োজন পড়েনি। এবারও সত্যিই প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে ভক্তদের।