পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দিল্লিতে আজ ছিল বিরোধী জোটের বৈঠক। সেখানে সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠকে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে, এনআরসি তো নয়ই, এনপিআরও নয়। এরপরই আইনমন্ত্রী রবিশঙ্করর প্রসাদ ওই বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, এভাবে সংসদে পাশ হয়ে যাওয়া আইনকে বিরোধীরা নস্যাৎ করার ডাক দিয়ে অসাংবিধানিক কাজ করছেন। আর বিরোধীদের এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অবস্থান সম্পূর্ণ বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য। আইনমন্ত্রীর এই মন্তব্য বিরোধীদের উদ্দেশে হলেও, আপাতত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহত্তম শরিক নীতীশ কুমারও প্রায় বিরোধীদের মতো অবস্থান নেওয়ায় বিজেপি এবার যথেষ্ট বিপাকে। প্রশান্ত কিশোর আগাগোড়া এনআরসি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও এতদিন বিজেপি প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে, সেটা একান্তই প্রশান্ত কিশোরের ব্যক্তিগত অভিমত। কিন্তু আজ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে নীতীশ কুমার স্পষ্ট করে দিলেন যে আদতে প্রশান্ত কিশোরের ওই মন্তব্যগুলির পিছনে ছিল তাঁর প্রত্যক্ষ সমর্থন। হয়তো প্রশান্ত কিশোরকে দিয়েই নীতীশ কুমার বার্তা দিয়েছিলেন বিজেপিকে।
বলা বাহুল্য, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বিহারে বিধানসভার ভোট। তার অনেক আগে থেকেই এভাবে জোট শরিকের থেকে ভিন্নমত আসায় বিজেপি যথেষ্ট শঙ্কিত। তা হলে কি ভোটের আগে নীতীশ কুমার হাত ছাড়বেন বিজেপির? এর আগে মেহবুবা মুফতি, চন্দ্রবাবু নাইডু, উদ্ধব থ্যাকারে, অসম গণপরিষদ, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে বিজেপির। বস্তুত এনডিএ জোটে তাৎপর্যপূর্ণ উপস্থিতি বলতে নীতীশ কুমার এবং অকালি দলই এখনও বেঁচে রয়েছে। এবার কি নীতীশ কুমারও সম্পর্ক ছিন্ন করার আভাস দিচ্ছেন ভোটের আগেই? শাসক শিবিরে উদ্বেগ কিন্তু বাড়ছে।