বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, এই ‘দয়ালু’ এটিএমের অবস্থান মাদিকারি শহরে। বেঙ্গালুরু থেকে ওই শহরের দূরত্ব ২৬৮ কিলোমিটার। গত বুধবার এটিএমে টাকা তুলতে গিয়ে তাজ্জব বনে যান গ্রাহকরা। একশো টাকা টাকা তুলতে চাইলে এটিএম থেকে বেরিয়ে আসছে কড়কড়ে ৫০০ টাকা। কেউ হয়তো ৩০০ টাকা তুলতে চেয়ে বোতাম টিপেছেন, এটিএম তাঁর হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে নগদ ১৫০০ টাকা। স্বভাবতই প্রথম গ্রাহক এই সুযোগ লুফে নেন। তিনি একটা বড় অঙ্কের টাকা তুলে নিয়েছিলেন বলে পুলিস জানতে পেরেছে। পরে শহরজুড়ে এটিএমের অভাবনীয় কাণ্ড মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ভিড় জমে এটিএমের সামনে। পুলিস এবং ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ যতক্ষণে জানতে পারল, ততক্ষণে এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা এটিএম থেকে লোপাট হয়ে গিয়েছে।
কোডাগু জেলার পুলিস সুপার সুমন ডি পেন্নেকর জানিয়েছেন, ওই এটিএম কাউন্টারটি কানাড়া ব্যাঙ্কের। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনও খবর দেয়নি। কয়েকজন গ্রাহকই প্রথম পুলিসে খবর দেন। সেই সূত্র ধরে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিস। এটিএম কাউন্টারে টাকা তোলার তথ্য ঘেঁটে ‘সুবিধা’ নেওয়া গ্রাহকদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। সিংহভাগ টাকা উদ্ধারও করা গিয়েছে বলে পুলিস সুপার জানিয়েছেন। একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
কিন্তু, কেন এমনভাবে বিগড়ে গেল এটিএম? পুলিস জানিয়েছে, এটিএমে টাকা ভরতে গিয়ে গোল বাঁধিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের এজেন্সি। সম্ভবত, এটিএমের ভিতর টাকা রাখার স্তর বিভাজন করতে গিয়েই তারা ভুল করেছে। ঘটনার দিন ওই এটিএমে ১০০ টাকা নোটের পরিবর্তে ৫০০ টাকার নোট ইস্যু করে ছিল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এজেন্সির লোকেরা একশো টাকার নোট রাখার স্তরে সম্ভবত ৫০০ টাকার নোট রেখে দিয়েছিলেন। তাই ১০০ টাকার নোট চেয়ে বোতাম টিপলেই ৫০০ টাকার নোট বের করে দিচ্ছিল এটিএম। এ ব্যাপারে ব্যাঙ্ক কর্তারা মুখে কুলুপ এঁটে থাকলেও পুলিস সুপার জানিয়েছেন, ওই এজেন্সির ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে।