বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিকে রাহুলের সাভারকর মন্তব্যে নিয়ে শিবসেনাকে একহাত নিল বিজেপি। শিবসেনার কাছে ক্ষমতা আগে না সাভারকর, এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামীকে রাহুল গান্ধীর এই অপমান দেশবাসী কখনই ক্ষমা করবেন না। শিবসেনাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শিবসেনার সামনে এখন একটাই পথ খোলা রয়েছে। তাদের কাছে ক্ষমতা আগে, না সাভারকর। এব্যাপারে শিবসেনার উচিত তাদের অবস্থান জানানো। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়েও কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছেন বিজেপি নেতা। তাঁর অভিযোগ, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মানুষকে বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝাচ্ছে কংগ্রেস। এই আইন নিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের ভয়ের কিছু নেই। মুসলিম সহ কোনও ভারতীয়কে নাগরিকত্ব হারাতে হবে না। পাশাপাশি সাভারকর নিয়ে রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি সরব হয়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এদিন তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীর ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চাওয়া উচিত। এদিকে সাভারকর ইস্যুতে রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের জোট শরিক এনসিপি। এদিন এনসিপি নেতা ছগন ভুজবল বলেন, যখন এটি খুবই ব্যক্তিগত হয়ে যায়, তখন সবাই একমত নাও হতে পারেন। সাভারকর নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। বিজেপি তাঁর সঙ্গে একমত না হতেই পারে।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী সভা থেকে সরব হন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, মোদিজি বলেছিলেন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া।’কিন্তু এখন খবরের কাগজ খুললেই দেখা যাচ্ছে ‘রেপ ইন ইন্ডিয়া।’ রাহুলের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপি দাবি করে, তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু রাহুল জানিয়ে দেন ক্ষমা চাইবেন না। কারণ তিনি কোনও ভুল কিছু বলেননি। শনিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানের সভা থেকে তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করতে সাভারকরের প্রসঙ্গ টানেন রাহুল। তিনি বলেন, সত্যি কথা বলার জন্য কখনই ক্ষমা চাইব না। আমার নাম রাহুল গান্ধী। রাহুল সাভারকর নয়। রাহুলের এই মন্তব্যের পরই চটে যায় শিবসেনার শরিক দল কংগ্রেস। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, বীর দামোদর সাভারকর অত্যন্ত সম্মানীয় ব্যক্তি। সাভারকর শুধু মহারাষ্ট্রে নয়, গোটা দেশের কাছে ভগবান। নেহরু, গান্ধীর মতো সাভারকরও দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন। তাঁকে অসম্মান করা কখনই উচিত নয়। এদিকে সাভারকর নিয়ে শিবসেনার সঙ্গে একমত না হওয়ায় মহারাষ্ট্রে সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী।