কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
দিল্লিই তাঁদের জীবন থেকে সব কিছু ছিনিয়ে নিয়েছে। তবু নির্ভয়ার মা আজ আর দিল্লিকে ঘৃণা করেন না। কারণ, তাঁদের রাজ্য উত্তরপ্রদেশেও একইরকম ঘটনা ঘটছে। ধর্ষণ, খুন এখন গোটা দেশের সমস্যা। বলা ভালো বিশ্বের। ‘আপনি তো আর সারা বিশ্বকে ঘৃণা করতে পারবেন না’, বললেন তিনি। নির্ভয়ার বাবা অবশ্য দাবি তুলেছেন, ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের বিচারের সময় বেঁধে দেওয়া হোক। প্রাণভিক্ষা বা পুনর্বিবেচনার আর্জির জন্য কোনও সময় নির্দিষ্ট থাকে না। এটা উচিত নয়। শুধু তাই নয়, নিম্ন আদালতের রায় হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে এলে তার জন্য ১৫ দিনের বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, ‘মুকেশ সিং, পবন গুপ্ত, বিনয় শর্মা ও অক্ষয় সিং ঠাকুরের ফাঁসি হলে নির্ভয়া বিচার পাবে। কিন্তু দেশে তো আরও নির্ভয়ারা রয়েছেন। সেই মেয়েদের জন্যও লড়াই করব।’
ফাঁসি হবেই। আজ না হোক অন্য এক দিন। তবু ছেলের গলায় ফাঁসির দড়ি উঠবে না, এই মরিয়া আশা নিয়েই রয়েছেন নির্ভয়াকাণ্ডের অন্যতম অপরাধী বিনয় শর্মার মা। দক্ষিণ দিল্লির রবিদাস ক্যাম্প কলোনি বস্তিতে খাড়া ও সরু সিঁড়ির উপরের ঘরে বসে ভয়ে ভয়েই দিন কাটছে তাঁর। রাম সিং এবং মুকেশ সিংয়ের পরিবার রাজস্থানে চলে গিয়েছে। বস্তিতে রয়ে গিয়েছে পবন ও বিনয়ের পরিবার। রবিবার থমথমে ছিল সেখানকার রাস্তাঘাট। নিজের নামটুকুও বলতে চাননি বিনয়ের মা। ক্ষোভের সুরে শুধু বললেন, ‘এখন মানুষ এসে আমাদের জিজ্ঞাসা করছেন কেমন আছি। কিন্তু তখন কোথায় ছিলেন, যখন আমার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ ছিল? আমি জানি না আপনাদের কী বলব। যদি মনে হয়, আমি আপনার মায়ের মতো, তাহলে আমাদের সাহায্য হয়, এমন কিছু লিখুন।’ পবনের পরিবার এদিন কোনও কথাই বলতে চায়নি।
অন্যদিকে, ধর্ষণের ঘটনা বাড়লেও আদালতে মামলাগুলিতে দোষী সাব্যস্ত করা বা সাজা ঘোষণার হার মোটেও ভালো নয়। ধর্ষণের ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার সারা দেশে মাত্র ৩২.২ শতাংশ। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ২০১৭ সালের রিপোর্ট বলছে, সে বছর ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ২০১টি ধর্ষণের মামলা আদালতে উঠেছিল। যার মধ্যে মাত্র ৫ হাজার ৮৮২টিতে অপরাধীদের দোষ প্রমাণিত হয়েছে। ২০১৩ সালের তুলনায় ধর্ষণের মামলায় চার্জশিট পেশের হারও ১০ শতাংশের কাছাকাছি কমেছে। ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন রুখতে আইন আরও কড়া হয়েছে। কিন্তু দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার নামায় এই আইন যথেষ্ট কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।