বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অন্যদিকে কেরল, পাঞ্জাব গতকালই জানিয়েছে সেখানেও কার্যকর হবে না এই আইন। আজ ছত্তিশগড়ের মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, ওই রাজ্যেও নাগরিকত্ব আইন চালু করা উচিত হবে না। একই পথ নিতে পারে কংগ্রেস শাসিত মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানও। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীও যথেষ্ট চাপে আছেন। আবার তামিল ইস্যুকে সামনে রেখে ডিএমকে তামিলনাড়ুতে রাস্তায় নেমে দাবি করেছে ওই রাজ্যে যদি সরকার এই একপেশে আইন চালুর চেষ্টা করে তা হলে, তীব্র বিক্ষোভ হবে। নাগরিকত্ব আইনের নয়া সংশোধনে যেহেতু শ্রীলঙ্কার তামিলদের যুক্ত করা হয়নি, তাই ডিএমকেও আন্দোলনে নেমেছে। এই দাবির বিরোধিতা করে দ্রুত আইন চালুর প্রক্রিয়া শুরু করাও রাজনৈতিক কারণে সম্ভব নয় এইআইডিএমকের পক্ষে। কারণ, ২০২১ সালে ওই রাজ্যেও বিধানসভা ভোট। এখন থেকেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে এই আইনের তীব্র বিরোধিতা করা হবে। সেই পথ ধরেই মহারাষ্ট্রেও নাগরিকত্ব আইন অনুসরণ করে কর্মসূচি চালু করা আপাতত সম্ভব নয়। তবে মোদি সরকারের পক্ষে সব থেকে উদ্বেগজনক হল অসম ও ত্রিপুরা। এই দুই রাজ্যে সরাসরি বিজেপি ক্ষমতায়। দুই রাজ্যেই আগুন জ্বলছে আইনের বিরুদ্ধে। সুতরাং বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলি তো বটেই, অসম ও ত্রিপুরাতেও আদৌ এই প্রবল আন্দোলন আর বিক্ষোভের মধ্যে আইনটি চালু হবে কিনা কিংবা হলেও কবে থেকে হবে, সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আইন কার্যকর করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। ওই বিজ্ঞপ্তিতেই ঘোষণা করা হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুযায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া। এবং কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরের নোডাল এজেন্সি স্থাপনের পরই ওই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। পরবর্তী পদক্ষেপ রাজ্যস্তরে এজেন্সি স্থাপন করা। কেন্দ্রীয় সরকার মনিটরিং কর্তৃপক্ষ হলেও রাজ্য স্তরে গঠন করা হবে নোডাল এজেন্সি। কোনও একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করার ক্ষেত্রে শুরুতে এই প্রক্রিয়াই গ্রহণ করা হয়। যে কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মতোই, কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রেও ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর নিয়ম অনুযায়ী রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক পরিকাঠামো ব্যবহার করতে হয়। রাজ্যই বেঁকে বসলে আইন কার্যকর করবে কে? একদিকে একের পর এক রাজনৈতিক দল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে আইনকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে। আর অন্য দিকে একের পর এক রাজ্য সরকারও এই আইন মানতে অস্বীকার করছে। তাই আইন মোতাবেক কবে থেকে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আবেদন করা যাবে সেটা এখনও বলা যাচ্ছে না।