কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
কমল নাথের মতো আক্রমণাত্মক না হলেও সংশোধিত নাগরিক আইন নিয়ে মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) নেত্রী আগাথা সাংমাও। শান্তি ও আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ বজায় রাখতে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতকে এই আইনের আওতার বাইরে রাখার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানান তিনি। বৃহস্পতিবারই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে এই আর্জি জানান তুরার সাংসদ তথা প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
অন্যদিকে, নাগরিক আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে শুক্রবার চেন্নাইয়ে গ্রেপ্তার হন ডিএমকে প্রেসিডেন্ট এম কে স্ট্যালিনের পুত্র উদয়ানিধি স্ট্যালিন। জানা গিয়েছে, ডিএমকে’র যুব শাখার নেতা উদয়ানিধি এদিন সাইদাপেট এলাকায় সংশোধিত নাগরিক আইন বিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন। রাস্তা অবরোধ করার ফলে ওই এলাকার ট্রাফিক স্তব্ধ হয়ে যায়। পুলিস জানিয়েছে, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে উদয়ানিধি সহ বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে এদিন গ্রেপ্তার করা হয়।
শিবসেনার তরফেও এই আইন নিয়ে কেন্দ্রকে এদিন তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রসঙ্গ তুলে শিবসেনা জানিয়েছে, সারা বিশ্বের হিন্দুদের একমাত্র রক্ষাকর্তা হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতেই নাগরিক বিলে সংশোধন করা হয়েছে। কিন্তু, ৩৭০ ধারা বাতিলের পরও কেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা ঘরে ফিরতে পারছেন না, সেই বিষয়ে সরকার এখনও কোনও সুস্পষ্ট জবাব দেয়নি। এরপরই সুর চড়িয়ে শিবসেনা প্রশ্ন তুলেছে, কাশ্মীর এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এবার উত্তর-পূর্বেও হিংসা শুরু হয়েছে। এইধরনের যন্ত্রণা ডেকে এনে সরকার কী ধরনের রাজনীতি করতে চাইছে? মহারাষ্ট্রে শিবসেনার জোটসঙ্গী কংগ্রেসের মন্ত্রী নীতিন রাউতও এদিন সাফ জানিয়ে দেন, রাজ্যে এই সংশোধিত নাগরিক আইন কখনওই বাস্তবায়িত হবে না। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারেও এই ইস্যুতে কংগ্রেসের সঙ্গেই রয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে, সংশোধিত নাগরিক আইনের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের (আইইউএমএল) মামলায় নিজেকেও যুক্ত করবেন বলে জানিয়েছেন কেরলের বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালা। উল্লেখ্য, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ইউডিএফের অন্যতম সদস্য হল এই আইইউএমএল। অন্যদিকে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় উত্তপ্ত উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখে প্রশাসন। পাশাপাশি, এদিন বিএসপি নেতা এবং মেয়র ফুরকান আলিকে বিক্ষোভ প্রদর্শনের অনুমতিও দেয়নি রাজ্য প্রশাসন।