বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তবে বিজেপি যতই চাপ দিক, তিনি ক্ষমা চাইবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। উল্টে বলেছেন, নরেন্দ্র মোদি ক্ষমা চান। সভার বাইরে রাহুল এদিন বলেন, যে মন্তব্যের জন্য তাঁর সমালোচনা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে প্রায় একই মন্তব্য খোদ নরেন্দ্র মোদির মুখে শোনা গিয়েছিল। নরেন্দ্র মোদির সেই মন্তব্যের ভিডিও ক্লিপিংস লোকসভার ভিতরে প্রথমে মা সোনিয়া গান্ধীকে শুনতে দেন রাহুল। পরে তা নিজের ট্যুইটারে আপলোড করেন। একইসঙ্গে দাবি করেন, উত্তর-ভারত যেভাবে জ্বলছে, অর্থনীতিকে যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা চান।
কেবল কংগ্রেসই নয়, ডিএমকে, এনসিপির মতো দলের নেতানেত্রীরা বিজেপির উদ্দেশ্যে পাল্টা প্রশ্ন তুলে রাহুল গান্ধীর হাত শক্ত করলেন। উভয়পক্ষের হইহট্টগোলের জেরে দফায় দফায় মুলতুবি হল লোকসভা। কয়েকদিন আগেই কুড়িতে কুড়িটাই প্রশ্ন-উত্তর সম্পন্ন করে রেকর্ড তৈরি করেছিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। কিন্তু আজ শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে শাসক-বিরোধী উভয়ের হল্লার জেরে একটিও প্রশ্ন হল না। দু’ দফায় সভা মুলতুবি করার পরে অনির্দিষ্টকালের জন্য (সাইন-আ-ডাই) লোকসভা মুলতুবির ঘোষণা কর দিলেন স্পিকার।
উন্নাও থেকে হায়দরাবাদ তথা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ধর্ষণের খবর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করতে গিয়ে গতকাল ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদির স্লোগান ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে কটাক্ষ করেছিলেন রাহুল। বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী মেক ইন ইন্ডিয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু এখন রোজ খবরের কাগজ খুললেই দেখা যাচ্ছে তা ‘রেপ ইন ইন্ডিয়া’ হয়ে গিয়েছে। রাহুল গান্ধীর ওই মন্তব্য নিয়েই আজ তাঁকে চেপে ধরতে তেড়েফুঁড়ে নামল বিজেপির মহিলা ব্রিগেড। মন্তব্যটি সংসদের বাইরে হলেও কেন এভাবে মহিলাদের অপমান করা হবে, কেন ভারতকে গোটা বিশ্বের কাছে ছোট করা হবে, প্রশ্ন তুলে সরব হয় বিজেপি। দেওয়া হয় মুলতুবি প্রস্তাবও।
যার সমালোচনা চড়িয়ে কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, সরকারপক্ষই সভা চলতে দিচ্ছে না। হইচই করছে। মুলতুবি প্রস্তাব জমা করছে। উত্তর-পূর্ব ভারত সহ গোটা দেশের কোণে কোণে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যা ঘটছে, তার থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই বিজেপি রাহুল গান্ধীর ইস্যু তুলে সভা ভণ্ডুল করতে চাইছে। এ ব্যাপারে স্পিকারকে রীতিমতো চিঠিও দিয়েছেন তিনি। মুলতুবি পর্বে ওম বিড়লার কক্ষে যান রাহুল গান্ধী। বিজেপি যেভাবে তাঁর সমালোচনা করছে, সে ব্যাপারে তাঁকেও কিছু বলতে দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। যদিও স্পিকার তা অনুমোদন করেননি। তাই সভার বাইরে তিনি যেমন নরেন্দ্র মোদিকে টার্গেট করে নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন রাহুল, অন্যদিকে স্মৃতি ইরানির মতো মন্ত্রীর পাশাপাশি বিজেপির মহিলা এমপিরাও সমালোচনায় সরব থাকছেন।