রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
আগামী ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত এক বন্দির প্রাণভিক্ষার আবেদনের শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। ওই দিনই নির্ভয়ার মায়ের বক্তব্য পেশ করতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে। এদিকে, নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের মৃত্যু পরোয়ানা জারির ব্যাপারে এদিনই দিল্লির একটি আদালতে শুনানি ছিল। সেখানেও নির্ভয়ার মা সাজার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার আর্জি রাখেন। কিন্তু মৃত্যু পরোয়ানা জারির বিষয়টি আপাতত স্থগিত রেখেছেন অতিরিক্ত নগর দায়রা বিচারক সতীশকুমার অরোরা। সুপ্রিম কোর্টে সাজাপ্রাপ্ত বন্দির প্রাণভিক্ষার আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা সম্ভব নয় বলে মত বিচারকের। ফলে, এ সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর। এর আগে নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাদের মধ্যে অক্ষয় কুমার নামে এক আসামী পুনরায় প্রাণভিক্ষার আবেদন করে। শীর্ষ আদালত তাঁর আবেদন ফের নাকচ করে দিলে চার সাজাপ্রাপ্তের ফাঁসি হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এমনটাই মনে করছেন আইনি বিশেষজ্ঞরা। আর সেই কারণেই তিহার জেলে ফাঁসির প্রস্তুতিও শুরু গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
২০১২ সালে দিল্লিতে চলন্ত বাসের মধ্যে গণধর্ষিতা হন এক প্যারামেডিক্যাল ছাত্রী। নৃশংসভাবে হত্যাও করা হয় তাঁকে। এই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মামলায় অক্ষয় কুমার, মুকেশ, পবন গুপ্ত, বিনয় শর্মা, রাম সিংকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা দেয় নিম্ন আদালত। পরে রাম সিং তিহার জেলেই আত্মহত্যা করে। এক নাবালকও এই মামলায় অভিযুক্ত ছিল। জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের রায়ে তার তিন মাস জেল হয়। এখন তাকে রাখা হয়েছে একটি হোমে। তবে, অক্ষয়, মুকেশ, পবন ও বিনয়ের ফাঁসির সাজা বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টও। পরে অক্ষয় প্রাণভিক্ষার আবেদন করে সর্বোচ্চ আদালতে। ওই আবেদনে দিল্লির দূষণ প্রসঙ্গ টেনে ‘জীবনের মেয়াদ’ কমে যাচ্ছে বলে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তার আইনজীবী এ পি সিং। আদালতের কাছে তাঁর আর্জি, ‘যেখানে জীবনের মেয়াদ ক্রমেই কমছে, সেখানে মৃত্যুদণ্ড কেন? এই পরিস্থিতিতে তাঁর মক্কেলকে জীবনের মূলস্রোতে ফিরতে শোধরানোর সুযোগ দেওয়া হোক।’ অন্যদিকে, দিল্লির আদালতে দাঁড়িয়ে এদিন নির্ভয়ার মা বলেছেন, ‘আইনের মারপ্যাঁচেই আমার মেয়ের খুনিরা বাঁচতে চাইছে। তাদের সেই আর্জি নাকচ করে দ্রুত বিচারের প্রক্রিয়া শেষ করা হোক।’