কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এখানেই শেষ নয়, দুপুরে মোদি ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ঝাড়খণ্ডের ইস্যুর থেকেও অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে উত্তর পূর্ব ভারতের মানুষকে বার্তা দিয়ে বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পরই জানিয়েছিলাম, উত্তর পূর্ব ভারতের প্রত্যেক রাজ্যকে তাদের ঐতিহ্য বজায় রাখতে সবরকম সাহায্য করব।. সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেছি। আজ উত্তর পূর্ব ভারতের প্রতিটি রাজ্যে বিপুল উন্নয়নের কাজ চলছে। আগামীদিনেও এই কাজ চলবে। কংগ্রেসের প্রচারে বিশ্বাস করবেন না। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কোনওভাবেই অসম ও অন্য রাজ্যগুলিকে প্রভাবিত করবে না। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয়ে গেলেও কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণ উদ্বেগহীন থাকতে পারছে না। কারণ, একদিকে যেমন সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে, তেমনই উত্তর পূর্ব ভারত জ্বলছে। এবং কূটনৈতিক ধাক্কা দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
যদিও ওই সফর বাতিলকে বড় কোনও ইস্যু হিসাবে দেখার প্রয়োজন নেই বলে আজ তড়িঘড়ি মন্তব্য করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন, একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী তাঁর সফর বাতিল করেছেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের প্রভাব ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলবে না। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যতটা শক্তিশালী ছিল তেমনই আছে। আর দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী একথা অনেকবার বলেছেন যে, দুই দেশের সম্পর্কের সম্প্রসারণ এখন দীর্ঘকালীন আস্থার স্তরেই ছড়িয়ে রয়েছে। সুতারং একটি সফর বাতিল সেই সম্পর্কে ছায়া ফেলতে পারে না।
আজ বিরোধীরা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে আক্রমণ করে বলেছে, কাশ্মীরকে যোগাযোগহীন করে রাখা হয়েছে আগস্ট মাস থেকে। ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পর থেকে। এবার আরও একটি বিতর্কিত ও বিপজ্জনক আইন জোর করে পাশ করিয় গোটা উত্তর পূর্ব ভারতে আগুন জ্বালিয়েছে এই সরকার। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে অসম ও ত্রিপুরার মানুষকে আশ্বাসবাণী দিয়েছেন। কিন্তু ওইসর রাজ্যে ইন্টারনেটই তো বন্ধ অনির্দিষ্ট কালের জন্য।. ঠিক কাশ্মীরের মতেই চলছে সেখানে। তা হলে প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট অসমবাসী তো পড়তেই পারল না!