রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অপ্রচারের অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, সরকার আজ বঞ্চিত লক্ষ লক্ষ দলিত, শিখ এবং খ্রিস্টান পরিবারকে আইন তৈরি করে নাগরিকত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু কংগ্রেস তার বিরোধিতা করে চলেছে। কংগ্রেস সবসময় জাতীয় স্বার্থকে বঞ্চিত করে রেখেছিল। মোদি বলেন, আমি ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করি না। মানুষের জন্য কাজ করে যাব। কংগ্রেস ও তার সঙ্গীরা ঝাড়খণ্ডবাসীর সঙ্গে শুধু প্রতারণাই করে গিয়েছে। তাঁদের ন্যূনতম পরিষেবাও দেওয়া হয়নি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ির হাত ধরে ঝাড়খণ্ড গঠিত হয়েছিল। কিন্তু ঝড়খণ্ডকে পৃথক রাজ্য করার ইস্যুটি প্রায় পাঁচ দশক ফেলে রেখেছিল কংগ্রেস। তেমনি রাম জন্মভূমি ইস্যুকেও দশকের পর দশক ফেলে রেখেছিল কংগ্রেস। শুধু ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিরোধী আইনটি পাশ করেনি তারা। মোদির কথায়, কংগ্রেস-জেএমএম সহ অন্যদের জোটের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। এই জোটের লক্ষ্য রাজ্যের উন্নয়ন নয়, কয়লা সহ অন্যান্য খনিজ এলাকা থেকে লুট করা।
এদিন রাজমহলে নির্বাচনী সভা করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোট ক্ষমতায় এলে কৃষকদের ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। রাহুল বলেন, রাজ্যের চাষিদের থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে (আড়াই হাজার টাকা) ধান কেনা হবে। রাহুল বলেন, ‘ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান সরকার ইতিমধ্যে কৃষকদের থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করে দিয়েছে। এবার জোট সরকার ক্ষমতায় এলে ঝাড়খণ্ডের কৃষকরাও একই সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি রাহুল বেকারত্ব বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নেন। গত ৪৫ বছরের মধ্যে বেকারত্ব সবথেকে বেড়েছে বলে তিনি দাবি করেন। দেশের গরিব মানুষেরা এখনও নোট বাতিলের খেসারত দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রাহুল।