বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত কয়েকমাসে এ রাজ্য থেকে বিপুল পরিমাণে সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে ডিআরআই এবং শুল্ক দপ্তর। জানা যায়, এর বেশিরভাগটাই বাংলাদেশ হয়ে এ রাজ্যে ঢুকছে। ব্যবসা চালানোর ধরন দেখেই গোয়েন্দারা বুঝতে পারেন, এর পিছন একটি সংগঠিত চক্র কাজ করছে। তা না হলে এভাবে নিখুঁত অপারেশন চালানো সম্ভব নয়।
তদন্তের গভীরে গিয়ে আধিকারিকরা বুঝতে পারেন, ঢাকার গুলশনকে মূল কেন্দ্রস্থল করেছে চোরাকারবারিরা। এছাড়া বনানীতে ডেরা খুলেছে তারা। বিদেশ থেকে সোনা এখানে নিয়ে আসা হচ্ছে। এরপর তা পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। একাধিক হাত ঘুরে তা ঢুকছে এ দেশে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সিঙ্গাপুর, দুবাই, তাইল্যান্ড ও চীন থেকে সোনা আসছে ঢাকায়। এখান থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, ঘোজাডাঙা, বনগাঁ দিয়ে রাজ্যে আসছে। একাধিক কেরিয়ার এই কাজে যুক্ত।
দুবাইয়ের নাম উঠে আসাতেই তদন্তের গতিপ্রকৃতি অন্যদিকে মোড় নেয়। কারণ এখান থেকেই ডি কোম্পানির কাজ কারবার চলে। দাউদের লোকজন এই কাজে জড়িত কি না, তার খোঁজ শুরু হয়। আধিকারিকরা দেখেন, তাঁদের অনুমান পুরোটাই ঠিক। দুবাইতে দাউদের সঙ্গীরা বিভিন্ন দেশ থেকে সোনা নিয়ে আসছে। তাদের সকলেরই বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা রয়েছে। পর্যটক সেজে বাইরে গিয়ে সেখান থেকে ব্যাগভর্তি সোনা নিয়ে আসছে। ভারতকে টার্গেট করেছে তারা। সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে ডি কোম্পানির লোকজন। ঢাকার গুলশনে ঘাঁটি গেড়েছে তারা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, পাকিস্তান থেকে দাউদের লোকজন এসেছে এখানে। দুবাই থেকে সোনা নিয়ে আসার পর বাংলাদেশে দাউদের দলের লোকেদের হাতে সোনা গচ্ছিত করা হচ্ছে। এখান থেকে চাহিদামতো সোনা এপারে পাঠানো হচ্ছে। এখানকার বড় এজেন্টরাও ডি কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাদের সঙ্গে ঢাকার কারবারিদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা দিয়ে সোনা নিয়ে আসার পর বেশিরভাগটাই যাচ্ছে বড়বাজারে। কলকাতা থেকে তা পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা জানতে পেরেছেন, বাংলাদেশের ডি কোম্পানির লোকজনকে এই কাজে সাহায্য করছে সেখানকার রাজনৈতিক নেতাদের একটা অংশ। অনেক সময় তাঁদের গাড়িতে করে সোনা নিয়ে আসছে ডি কোম্পানির লোকজন। ফলে পুলিসি চেকিং এড়াতে পারছে তারা। পাশাপাশি সীমান্ত পার করার ক্ষেত্রেও অনেক সময় তাঁদের সক্রিয় ভূমিকা থাকছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে চিন্তিত আধিকারিকরা। বাংলাদেশে ডি কোম্পানির লোকজনকে চিহ্নিত করে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করতে চাইছেন তাঁরা।