পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিল শিবসেনা। কিন্তু রাজ্যসভায় সেই রাস্তায় না হেঁটে ভোল বদলের ইঙ্গিত উদ্ধব থ্যাকারের দলের। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এত দ্রুত আমূল অবস্থান বদলের সিদ্ধান্ত? সূত্রের খবর অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের নতুন জোটসঙ্গীর উপর কংগ্রেসের প্রবল চাপের ফলে শিবসেনার এই অবস্থান বদলের সিদ্ধান্ত।
সোমবার লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিল শিবসেনা। যদিও নতুন জোটসঙ্গীর এই পদক্ষেপে বিরক্ত কংগ্রেস নেতৃত্ব মঙ্গলবার সকালেই উদ্ধব থ্যাকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সংসদের নিম্নকক্ষে বিলের পক্ষে শিবসেনার ভোটদানে কংগ্রেস যে খুশি নয়, থ্যাকারেকে তা সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দুপুরে শিবসেনার প্রধানের একটি বিবৃতি সামনে আসে। থ্যাকারের বক্তব্য, শিবসেনার তোলা প্রশ্নগুলির স্পষ্ট জবাব সরকার না দিলে রাজ্যসভায় দল বিলটিকে সমর্থন করবে না। উদ্ধবের কথায়, অন্যান্য দেশে নৃশংসতার শিকার হওয়া মানুষকে আশ্রয় দিতে সোমবার (লোকসভায়) আমরা বিলটির পক্ষে ভোট দিয়েছিলাম। কিন্তু এই ইস্যুতে আমরা বহু প্রশ্ন তুলেছিলাম। জাতীয় সুরক্ষা থেকে বিভিন্ন রাজ্যে স্থানীয় মানুষের অধিকার সহ এইসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সেগুলি উত্তর না মিললে আমরা রাজ্যসভায় বিলটিকে সমর্থন করব না। বুধবার রাজ্যসভায় শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, ধর্ম নয়, আমাদের উচিত মানবতার দিক থেকে এই বিলকে বিচার করা। অনুপ্রবেশকারী ও শরণার্থীর মধ্যে প্রভেদ রয়েছে। নাম না করে বিজেপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা কতটা কট্টর হিন্দুত্ববাদী ও দেশপ্রেমী, তা অন্যদের কাছ থেকে শিখতে হবে না। আপনারা যে স্কুলের ছাত্র, আমরা সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। আমরা বাল থ্যাকারে, অটলজি ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ে বিশ্বাস রাখি।
লোকসভায় শিবসেনার অবস্থানে বিরক্ত কংগ্রেস নেতৃত্ব যে মঙ্গলবারই এবিষয়ে উদ্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ করে, দলের এক প্রবীণ নেতার কথায় তা স্পষ্ট। এই কংগ্রেস নেতা বলেন, আমাদের প্রবীণ নেতা তথা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট মুম্বইয়ে ছিলেন। তিনি এই ইস্যুতে থ্যাকারের সঙ্গে কথা বলেন। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরেই শিবসেনার পদক্ষেপের সমালোচনা করে ট্যুইট করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর সেই ট্যুইটে চাপ আরও বাড়ে সেনা নেতৃত্বের উপর। রাহুলের ট্যুইটের প্রেক্ষিতেই গেহলট ও থ্যাকারের মধ্যে কথা হয়।