কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
নাগরিকত্ব বিলকে বিজেপি সরকারের একটি ‘জুমলা’ আখ্যা দিয়েই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো সংসদে সুর চড়াল তৃণমূল। এদিনও কেন্দ্রকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানিয়ে দিল, বাংলায় কোনওভাবেই এনআরসি হতে দেব না। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সংসদে এই বিল যতই পাশ করে নিক না কেন, সুপ্রিম কোর্টে তা ধাক্কা খাবে বলেই দাবি করেন ডেরেক। সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে রাজ্যসভায় তিনি জানিয়ে দেন, সংসদে বিল পাশ হয়ে গেলেও সংসদের বাইরে আগামীদিনে এ নিয়ে সরকার বিরোধী বৃহত্তর জন আন্দোলন হবে। এবং তা কিছুটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গুরের জমি আন্দোলেনের আকার নেবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে তৃণমূল।
মতুয়াদের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে বিজেপি মিথ্যে রটাচ্ছে মন্তব্য করেও ডেরেক এদিন বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বহু বছর ধরে ভোট দিচ্ছেন। নাগরিক বলেই তো তাঁরা তা পারছেন। তাই এ নিয়ে মিথ্যে রটানো হচ্ছে। বাংলায় তৃণমূল সরকারকে সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে গত সোমবার লোকসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে দুর্গাপুজোর প্রসঙ্গ টেনেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর প্রশ্ন ছিল, বাংলায় দুর্গাপুজোর বিসর্জন বিষয়ও কেন আদালতের দোড়গোড়ায় পৌঁছচ্ছে? সুযোগ পেয়ে আজ রাজ্যসভায় তার জবাব দিলেন ডেরেক। বললেন, বাংলায় হাজার হাজার দুর্গাপুজো হয়। স্কুলে স্কুলে সরস্বতী পুজো হয়। কোথায় কোনও সমস্যা নেই। তাই বাংলাপ্রেমী সাজার আগে ভালো করে বাংলাকে চিনুন। তারপর মুখ খুলুন। বক্তব্যের শুরুতে বাংলায় বলা শুরু করে পরে ইংরেজি, হিন্দিতে সরকারকে চেপে ধরার চেষ্টা করেন ডেরেক ও’ব্রায়ান। তাঁর বক্তব্যকে আরও জোরদার করতে দলের পক্ষে সুখেন্দুশেখর রায়, মানসরঞ্জন ভুঁইয়া, দোলা সেনের মতো এমপিরা সরকারের উদ্দেশ্যে ‘শ্যেম’ ‘শ্যেম’ বলে আওয়াজ তোলেন। কাব্যিক আঙ্গিকে বিজেপি তথা আরএসএসকে কটাক্ষের কষাঘাত হানতে ডেরেক বলেন, আমাদের বাঙালির কাছে ঈশ্বর হল বিদ্যাসাগর। ঠাকুর রবীন্দ্রনাথ। রাম রামমোহন রায়। কাজী আমাদের নজরুল, ফকির লালন ফকির। স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াইয়ে ব্রিটিশদের কোপের মুখে পড়ে আন্দামানের সেলুলার জেলে যত বন্দি ছিলেন, তার বেশিরভাগই বাঙালি। অসমের এনআরসির কবলেও যারা পড়েছেন, তাদেরই বেশিরভাগই হিন্দু, বাঙালি।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের সঙ্গে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি’র কোনও যোগ নেই বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আশ্বস্ত করলেও তা কোনওভাবেই মানতে নারাজ টিএমসি। নাগরিকত্ব বিলের পথ ধরেই মোদি সরকার গোটা দেশে এনআরসি’র চালু করবে বলেই তাঁদের দাবি। যে পন্থায় দেশের নাগরিকদেরই নিজভূমে পরবাসী হতে হবে বলেই তৃণমূলের মত। তাই কোনওভাবেই আর এনআরসি হতে দেব না বলে হুমকি দেন ডেরেক।