পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অসমের দু’টি ছাত্র সংগঠন রাজ্যজুড়ে ১১ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল মঙ্গলবার। অল অসম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (এএএসইউ) এবং নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস’ অর্গানাইজেশন (এনইএসও) ডাকা বন্ধে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল সাধারণ জনজীবনে। বন্ধ ডেকেছিল একাধিক বামপন্থী সংগঠনও। পুলিস জানিয়েছে, মালেগাঁও এলাকায় আন্দোলনকারীরা সরকারি বাসে পাথর ছোঁড়ে। পাশাপাশি, একটি স্কুটিতেও তারা আগুন লাগিয়ে দেয়। বিভিন্ন জায়গায় বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছিল বন্ধ সমর্থকরা। এদিকে, গুয়াহাটিতে সচিবালয় ও বিধানসভা চত্বরে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধ্বস্তিতে জড়িয়ে পড়ে তারা। একাধিক স্টেশনে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। এর জেরে গোটা অসমে রেল পরিষেবাতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। ধর্মঘট থাকায় রাস্তায় যানবাহন খুব কম ছিল। তবে, গুয়াহাটি শহরে এবং এলজিবি বিমানবন্দরে বেশ কিছু সরকারি বাস মজুত ছিল। কড়া পুলিসি প্রহরায় সেগুলি রাস্তায় নেমেছিল। ডিব্রুগড় জেলাতে সিআইএসএফের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ধর্মঘটীরা। পুলিস সূত্রে খবর, দুলিয়াজান এলাকায় অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের কর্মীদের কাজে যোগ দিতে বাধা দেয় তারা। এই নিয়ে পুলিসের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি শুরু হয়। অন্যদিকে, অসমের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। বিলের বিরোধিতা করে অসম ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডসের অনুষ্ঠান থেকে নিজের তৈরি ছবি ‘ভোগা খিরকি’ প্রত্যাহার করলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা জানু বরুয়া। যদিও, বাঙালি অধ্যুষিত বরাক উপত্যকার এই বন্ধের বিশেষ প্রভাব পড়েনি।
এনইএসও-র ডাকা বন্ধে ভালোই প্রভাব পড়েছিল ত্রিপুরা, অরুণাচলপ্রদেশ, মণিপুর এবং মেঘালয়েও। হর্নবিল উত্সব চলায় নাগাল্যান্ডকে ধর্মঘটের বাইরে রাখা হয়েছিল। ত্রিপুরার ঢালাই জেলার মনুঘাট বাজারে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলকারীরা। এদিনের বন্ধে ব্যাপক সাড়া মিলেছে উপজাতি প্রধান এলাকাগুলিতে। রাজ্যের একাধিক এলাকায় ট্রেন চালাচল বন্ধ ছিল। সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ আগরতলার আস্তাবল মাঠের কাছে রাস্তা অবরোধ করে বন্ধ সমর্থকরা। প্রায় ৪৫ মিনিট বিক্ষোভ দেখানোর পর প্রায় ৩০০ আন্দোলনকারীকে আটক করে প্রশাসন। ত্রিপুরায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে খবর। অরুণাচলপ্রদেশেও ধর্মঘটের জন্য স্কুল-কলেজ, ব্যাঙ্ক, ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। রাস্তাঘাটে যানবাহনও সেভাবে নজরে পড়েনি। পুলিসের ক্যাপিটাল সুপারিনটেনডেন্ট টুম্মে আমো জানান, বন্ধ মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ছিল। শুধু কয়েকটি জায়গা থেকে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ এসেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। যেকোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে কড়া নিড়াপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
মেঘালয়ে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে বন্ধ ডেকেছিল এনইএসও’র সদস্য সংগঠন খাসি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন। এখানেও দোকান-বাজার বন্ধ ছিল। সরকারি অফিস খোলা থাকলেও উপস্থিতির হার ছিল ১০ শতাংশের কম। ইস্ট খাসি হিলস জেলার মাওলাই জেলায় পুলিসের গাড়ি সহ একাধিক যানবাহন বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর করেছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার এমডাবলু নোংব্রি। তিনি বলেন, স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে বিপুল সংখ্যক পুলিসকর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল।