রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এনআরসি বিরোধী যুক্তমঞ্চ গত ১৫ নভেম্বর থেকে দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং থেকে শুরু করেছিল তাদের প্রতিবাদ সফর। বিভিন্ন জেলা ঘুরে এদিন তা শেষ হয় ধর্মতলার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের সমাবেশস্থলে। এই সমাপ্তি সমাবেশে যুক্তমঞ্চের হয়ে ভাষণ দিতে আসেন কানহাইয়া, কবিতা, কান্নন, ভিক্টররা। এঁরা কেউ সিপিআই, কেউ লিবারেশন, কেউ ফরওয়ার্ড ব্লকের মতো বাম দলগুলির নেতানেত্রী হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু বিভিন্ন বাম দলের সঙ্গে যুক্ত হলেও তাঁরা এই যৌথ মঞ্চের শরিক হয়েছেন এনআরসি’র মতো জনস্বার্থবাহী ইস্যুর তাগিদে। এমনকী, কান্ননও এই প্রথম কোনও প্রকাশ্য জনসভায় বক্তা হিসেবে হাজির হওয়ার নজির তৈরি করলেন একই কারণে।
এদিন সুর চড়িয়ে কানহাইয়া-কান্ননরা বলেন, দেশের সামনে আর্থিক বেহাল দশা। জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। জীবন-যন্ত্রণায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। বেকারত্ব রেকর্ড ছুঁয়েছে। এই অবস্থায় মানুষের ক্ষোভের আঁচ পেয়েই কেন্দ্রের মোদি সরকার নাগরিকত্বের বিষয়টি সামনে এনে নজর ঘোরাতে চাইছে। আদ্যন্ত সংবিধান বিরোধী এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। ধর্মের নামে দ্বিতীয়বার দেশের মানুষকে ভাগ করতে চাইছে সরকার। অন্তত তারা মুখে এই ইঙ্গিত দিচ্ছে নানা ধরনের হুমকির মাধ্যমে। এই অবস্থায় মানুষকে আমরা বলছি, সরকারের সঙ্গে এব্যাপারে সম্পূর্ণ অসহযোগিতা করুন। কোনও নথি সংগ্রহের জন্য ছুটবেন না। অবৈধ নাগরিকদের চিহ্নিত করাই যদি সরকারের মূল উদ্দেশ্য হয়, তাহলে তা প্রমাণ করার দায় তাদেরই নিতে হবে। তাই জনগণকে আমরা বলছি, নাগরিকত্বের বিষয়ে সরকারি আধিকারিকরা বাড়িতে এলে চা-জল খাইয়ে বিদেয় করে দিন। দ্বিতীয়বার এলে তখন মোদির দেওয়া প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ১৫ লাখ টাকা নিয়ে আসার কথা বলবেন। কিন্তু ঘূণাক্ষরেও কোনও নথি ওঁদের দেবেন না।
এদিকে, এদিন এনআরসি-ক্যাব ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের এক হাত নেন সিপিএমের পলিটব্যুরো নেতা মহম্মদ সেলিমও। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, সংবিধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ক্যাব আনতে চাইছেন শাহরা। আর ভিন দেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে এদেশে আশ্রয় নেওয়া মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই পাসপোর্ট ও বিদেশি নাগরিক আইনের বিধি সংশোধিত হয়েছে। আসলে জাতি-ধর্ম-বর্ণের ভিত্তিতে ইজরায়েলের মডেলে এদেশকেও বিভাজিত করতে চাইছে সঙ্ঘ পরিবার। ওদের এই উদ্যোগের জন্য এনআরসি’র অর্থ এখন দেশের মানুষের কাছে ‘নিউ রিফিউজি ক্রাইসিস’-এ পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রের সরকারের এই উদ্যোগের প্রতিবাদে এদিন থেকেই বিভিন্ন মিছিলে ক্যাব-এর কপি পোড়ানো শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান।