বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দীর্ঘদিন ধরেই ইপিএফের ন্যূনতম মাসের পেনশন এক হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি ইস্যুতে টালবাহানা করছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। কয়েকমাস আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের (ইপিএফও) অছি পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এর পরিমাণ বাড়ানো হবে। কিন্তু সেই বর্ধিত পেনশনের পরিমাণ কত হবে, তা এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। উল্লিখিত বৈঠকের সময় কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী তথা পদাধিকার বলে ইপিএফও’র চেয়ারম্যান সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার প্রতিনিধিদের জানিয়েছিলেন, ইপিএফের বর্ধিত ন্যূনতম মাসিক পেনশনের পরিমাণ চূড়ান্ত করতে খুব শীঘ্রই ফের ইপিএফও’র অছি পরিষদের বৈঠক ডাকা হবে। যদিও তা নিয়ে সরকার এখনও কোনও উচ্চবাচ্য করেনি বলেই অভিযোগ। যা নিয়ে সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির মধ্যেও অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। এই পরিস্থিতিতে যেভাবে কার্যত কোষাগারে অর্থাভাবের কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সংসদে মেনে নিয়েছেন, তাতে এই পেনশন বৃদ্ধি ইস্যুতে নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ২০১৩ সালে এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম নিয়ে কোশিয়ারি কমিটি কেন্দ্রকে যে সুপারিশ করেছিল, তাতে ন্যূনতম মাসিক পেনশন তিন হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। পাশাপাশি মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সুপারিশও করা হয়েছিল। কিন্তু আজ লোকসভায় কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণেই সংশ্লিষ্ট সুপারিশ মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৯৫ সালের এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমের আওতায় থাকা পেনশন প্রাপকেরা মাসিক ন্যূনতম এক হাজার টাকা করে পেনশন পাচ্ছেন। যদিও এই ইস্যুতে বিভিন্ন সময় একাধিক পেনশনার্স সংগঠন তাঁকে যে ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি লিখিতভাবেই জানিয়েছেন, সমস্ত দাবিই বিবেচনায় রাখা হয়েছে। দেশের যেসব সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ২০ জন কর্মী রয়েছেন, সেই সংস্থাগুলির ইপিএফও’র আওতায় থাকে। ওইসব কর্মীর মধ্যে যাঁরা মাসে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা বেতন পান, তাঁরা বাধ্যতামূলকভাবে ইপিএফ পরিষেবা পান। প্রতি মাসে একজন ইপিএফ গ্রাহক তাঁর মূল বেতন এবং মহার্ঘ ভাতার ১২ শতাংশ অর্থ এই খাতে কন্ট্রিবিউট করেন। তাঁর হয়ে সংস্থা কর্তৃপক্ষ আরও ১২ শতাংশ অর্থ ইপিএফের প্রদেয় অর্থ হিসেবে জমা দেয়। তার ৩.৬৭ শতাংশ যায় কর্মী ইপিএফ খাতে, বাকি ৮.৩৩ শতাংশ যায় তাঁর পেনশন অ্যাকাউন্টে।