রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
রাজ্য সরকারের এদিনের প্রস্তাব নিয়ে আইনমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক জানান, ‘ধর্ষণ এবং শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের মোকাবিলায় মন্ত্রিসভা ২১৮টি ফাস্ট ট্রাক কোর্ট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ১৪৪টি আদালতে ধর্ষণের শুনানি হবে। বাকি ৭৪টিতে পকসো মামলা বিচার চলবে।’ তিনি আরও জানান, দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের ২১৮টি পোস্ট তৈরি হবে। একইসঙ্গে আদালতের অন্যান্য কর্মীও নিয়োগ হবে। ২১৮টি ফাস্ট ট্রাক কোর্টের খরচভারের ৬০ শতাংশ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। বাকি ৪০ শতাংশ দেবে রাজ্য। তাঁর মতে, প্রাথমিকভাবে প্রতিটি আদালতের জন্য ৬৩ লক্ষ টাকা আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অভিযোগ পেলে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যদিও বিরোধীদের বক্তব্য, ক্রমাগত সমালোচনার মুখে পড়ে অবশেষে ফাস্ট ট্রাক আদালত গঠন করা হল। রাজ্যে বেড়ে চলা ধর্ষণের ঘটনা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যোগী সরকারের সম্পূর্ণ ব্যর্থতার নিদর্শন। উন্নাওয়ের ২৩ বছরের তরুণীকে জীবন্ত জ্বালিয়ে মারার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ধৃতদের মধ্যে একজন জামিনে মুক্তি পেয়ে গিয়েছে। এটা পুলিসের ব্যর্থতা, দাবি বিরোধীদের।
উন্নাওয়ের গণধর্ষণ এবং জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, প্রধান অভিযুক্ত শিবম ত্রিবেদি নির্যাতিতা তরুণীকে লিখিতভাবে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা হয়নি। উল্টে তরুণীর উপর লাগাতার যৌন নির্যাতন করা হয়। নির্যাতিতার বাড়ির পক্ষের আইনজীবী এস এন মৌর্য জানিয়েছেন, গত বছর জানুয়ারি মাসে অভিযুক্ত শিবম হিন্দু ধর্ম মেনে মন্দিরে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বয়ানে সে লিখেছিল, ‘২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি আমরা হিন্দু রীতি মেনে মন্দিরে বিয়ের ঘোষণা করছি। তারপর স্বামী এবং স্ত্রী হিসেবে আমরা বসবাস করব। কোনওরকম আইনী অন্তরায় ছাড়াই এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করছি।’ কিন্তু পরবর্তীকালে মেয়েটি নিচু জাতের হওয়ার অজুহাতে তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে শিবম। এরপরই থানায় ‘স্বামী’র বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তরুণীকে বারবার হুমকি দিত শিবম এবং তার লোকজন। বৃহস্পতিবার সকালে রায়বেরিলির আদালতে যাওয়ার পথে তাঁর পথ আটকায় চার অভিযুক্ত। গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।