মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
যদিও সরকার পক্ষ কোনওভাবেই কংগ্রেসের দাবি মানতে চাইছে না। কৃষি, অপুষ্টি, এমনকী মূল্যৃবৃদ্ধির মতো বিষয় নিয়ে আলোচনায় রাজি হলেও অস্বস্তি এড়াতে কাশ্মীর প্রসঙ্গে আলোচনা করতে চাইছে না কেন্দ্র। তাই সরকারকে চাপে ফেলতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নেতৃত্বে অবিলম্বে কাশ্মীরে একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানো হোক বলে দাবি করেছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। বিষয়টি নিয়ে সংসদের মধ্যেই এই দাবি তোলার পাশাপাশি লোকসভার কার্যবিবণী উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকেও উত্থাপন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও সরকার বা স্পিকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগের কথা জানা যায়নি।
জামিনে জেল থেকে ছাড়া পেয়েই প্রাক্তন অর্থ তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম কাশ্মীর ইস্যুতে মোদি সরকারকে তোপ দাগেন। গতকালও মোদি সরকারের প্রবল সমালোচনা করে চেন্নাইতে তিনি বলেছেন, অধঃপতনশীল একটা সরকার দেশটাকে ফ্যাসিস্ত চরিত্রের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে।
কেবল কাশ্মীরের বাসিন্দারাই নয়, রাহুল গান্ধী, দীনেশ ত্রিবেদি, সীতারাম ইয়েচুরি, গুলাম নবি আজাদের মতো নেতারাও উপত্যকার পরিস্থিতি চাক্ষুষ করতে চাইলেও তাঁদের শ্রীনগর বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে সংসদীয় দলের বৈঠকে সম্প্রতি ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। গত ৩১ আগস্ট সরকারিভাবে দু’টি রাজ্যে (জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ) প্রশাসনিক কাজ শুরু হলেও পরিস্থিতির তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি বলেই বিরোধীদের অভিযোগ। তারই মধ্যে মুর্শিদাবদের পাঁচজন শ্রমিককে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীরা গুলি করে হত্যা করেছে। এখনও ইন্টারনেট চলছে না। পর্যটক আনাগোনা প্রায় শূন্য। তাই সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বিচার করে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নেতৃত্বে কাশ্মীরে প্রতিনিধিদল পাঠানোর দাবি তুলে সরকারকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে কংগ্রেস।