বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উন্নাওয়ে এক ধর্ষিতাকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় এখন চরম অস্বস্তিতে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে কড়া সমালোচনার মুখেও পড়তে হচ্ছে তাঁর পুলিস-প্রশাসনকে। এর মাঝেই প্রকাশ্যে এল মুজফফরনগরের অ্যাসিড হামলা। ঘটনাটি উন্নাও-কাণ্ডের একদিন আগের। পড়শি গ্রামের কয়েকজন যুবক ধর্ষণ করেছিল ৩০ বছরের এক মহিলাকে। পুলিসের কাছে চার যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত নালিশও ঠুকেছিলেন তিনি। অভিযোগ, পুলিস ওই যুবকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। এরপরেই ওই মহিলা সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তাতেই অভিযুক্তদের রোষের মুখে পড়ে বলেন প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। বুধবার আরিফ, শাহনাওয়াজ, শরিফ এবং আবিদ নামে অভিযুক্ত চার যুবক ওই মহিলার বাড়িতে চড়াও হয়। মুজফফ্রনগরে শাহপুর থানার সার্কেল অফিসার গিরিজা শঙ্কর ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা ওই মহিলাকে অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। কিন্তু মহিলা কিছুতেই অভিযোগ তুলতে চাননি। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর আচমকাই মহিলার গায়ে অ্যাসিড ঢেলে দেয় অভিযুক্তরা। তাঁর দেহের প্রায় ৩০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। বাড়ির লোকেরা ওই মহিলাকে মিরাটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার পরই অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের বাড়ি স্থানীয় কাসেরভা গ্রামে। খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ত্রিপাঠী।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, পুলিস কেন গুরুত্ব দিয়ে ওই মহিলার ধর্ষণের অভিযোগ খতিয়ে দেখেনি? কেনই বা পুলিসকে এড়িয়ে আদালতের শরণাপন্ন হতে হল তাঁকে? পুলিসের অবশ্য দাবি, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, মহিলার অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিস। কিন্তু ধর্ষণের উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় তদন্তের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। অ্যাসিড হামলার পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও ধর্ষণের মামলা রুজু করেনি পুলিস। এ নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। যদিও ত্রিপাঠীর বক্তব্য, ‘ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৬-এ ধারা (অ্যাসিড হামলা সংক্রান্ত বিশেষ ধারা) মোতাবেক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।