বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রথম দিকে অবশ্য তরুণীর পরিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে রাজি ছিল না। মৃতের দিদি দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে গ্রামে এসে দোষীদের কঠোর শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। শনিবার তরুণীর দেহ তাঁর গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছয়। যদিও মৃতের দিদি সাফ জানিয়ে দেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরই বোনের দেহ সৎকারের অনুমতি দেবেন। পাশাপাশি পরিবারের একজনের সরকারি চাকরি এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তিরও দাবি করেন তিনি। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে তরুণীর পরিবারকে জানানো হয়, তাঁরা চাইলে লখনউতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। কিন্তু, তাতে রাজি হয়নি তরুণীর পরিবার।
পরে অবশ্য প্রায় ২ ঘণ্টা লখনউয়ের বিভাগীয় পুলিস কমিশনার মুকেশ মেশরাম ও অন্যান্য শীর্ষ পুলিসকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে দেহ সৎকারের অনুমতি দেয় তরুণীর পরিবার। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওই তরুণীর হতভাগ্য পিতার হাতে ২৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্য্য। বিভাগীয় পুলিস কমিশনার জানান, তরুণীর পরিবারকে যাবতীয় সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের অধীনে দু’টি পাকা বাড়িও তৈরি করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মৃতের দিদির ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হবে। তাঁর একটি চাকরির ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে। তরুণীর পরিবারের অন্য সদস্যদেরও সুরক্ষা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, মৃতের ভাইয়ের আর্জি মেনে তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে।’
সমাধিস্থ করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শ্রমমন্ত্রী বলেন, সরকার এই হতভাগ্য পরিবারের পাশেই রয়েছে। শেষকৃত্যে উপস্থিত রাজ্যের আর এক মন্ত্রী কমল রানি বরুণ বলেন, ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও শ্লোগানের একটা অর্থ আছে। এই চরম শোকের সময় আমরা তরুণীর পরিবারের পাশে আছি। দোষীরা যাতে কঠোরতম শাস্তি পায় তা নিশ্চিত করা হবে।’
অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা বিধান পরিষদের সদস্য সুনীল সিং সাজন রাজ্যের ভেঙে পড়া আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার উল্লেখযোগ্য হারে অবনতি ঘটেছে। বর্তমানে মেয়েরা আর নিজেদের নিরাপদ মনে করছেন না। তাঁদের এফআইআর গ্রহণ করা হচ্ছে না। যোগী আদিত্যনাথের সরকারের অবিলম্বে ইস্তফা দেওয়া উচিত।’
যদিও এই রাজনৈতিক আকচা-আকচি ছুঁতে পারেনি নির্যাতিতার শোকস্তব্ধ বাবাকে। পেশায় কামার বছর পঁয়ষট্টির ওই বৃদ্ধ এদিনও দাবি করেছেন, হায়দরাবাদের এনকাউন্টারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক উন্নাওতেও। একমাত্র তাহলেই তিনি শান্তি পাবেন।