পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বুধবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার সময় আক্রান্ত হন ২৩ বছরের ওই তরুণী। আক্রান্তদের মধ্যে ছিল তাঁকে ধর্ষণে অভিযুক্ত শিবম ও শুভম ত্রিবেদি। প্রথমে মারধর করে তরুণীর গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। দগ্ধ হয়ে যায় শরীরের বেশিরভাগ অংশ। শুক্রবার মধ্যরাতে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মারা যান ওই তরুণী। ময়নাতদন্তের পর তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। অভিযুক্ত পাঁচজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।
শনিবার নিজের বাড়িতে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন তরুণীর বাবা। দরজার সামনে বসে অভিযুক্তদের হায়দরাবাদকাণ্ডের মতো সাজার দাবি জানান তিনি। তরুণীর বাবার কথায়, ‘আমি টাকা বা অন্য কোনওরম সাহায্য চাই না। আমি শুধু দেখতে চাই হায়দরাবাদের সংঘর্ষের মতো অভিযুক্তদের ধাওয়া করে ওদের গুলি করা হচ্ছে অথবা ফাঁসি কাঠে ঝোলানো হচ্ছে।’ পাশাপাশি, অভিযুক্তদের অর্থবলের জন্য পুলিস প্রথমে এফআইআর নিতে রাজি হয়নি বলেও জানিয়েছেন তরুণীর বাবা। তাঁর কথায়, ‘আমরা যাতে পুলিসি সাহায্য না পাই সেজন্য অভিযুক্তরা অর্থবল ব্যবহার করেছিল। (প্রথমে) আমার এফআইআর নেওয়া হয়নি। পরে আদালতের নির্দেশে অভিযোগ নথিভুক্ত হয়।’
ঘরের মেয়েকে বাঁচাতে না পেরে দুঃখপ্রকাশ করেছে গোটা পরিবার। বিচারের আশ্বাস দিয়ে কেউ কি তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন? জবাবে তরুণীর বাবা বলেন, ‘না কোনও বিধায়ক, না কোনও আধিকারিক, কেউই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি।’ শুধু বাবা নন, তরুণীর ভাইও দিদির বিচারের দাবি জানিয়েছে। অভিযুক্তদের হয় গুলি করে, নয়তো ফাঁসিতে ঝোলানো হোক দাবি জানিয়ে গণধর্ষিতার ভাই বলেছে, ‘দিদি যেখানে গিয়েছে, সেখানে অভিযুক্তদের পাঠানো হলেই বিচার পাব। ও আমার কাছে বাঁচার আর্জি জানিয়েছিল। কিন্তু, দিদিকে বাঁচাতে না পেরে কষ্টে আমার বুক ফেটে যাচ্ছে।’ মৃতদেহ পাওয়ার পর দিদির সৎকার করা হবে বলেও জানিয়েছে সে। কাঁদতে কাঁদতে তরুণীর ভাই বলেছে, ‘অভিযুক্তরা আমার দিদিকে জ্বালিয়ে দিয়েছে। এখন শুধু আমরা তাঁকে সামধিস্থ করব।’