গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শনিবার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ঝাড়খণ্ডের ২০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। দৌড়ে ছিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস, বিধানসভার অধ্যক্ষ দীনেশ ওঁরাও (সিসাই), গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী নীলকণ্ঠ সিং মুণ্ডা (খুন্তি) এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি লক্ষ্মণ গিলুয়ার (চক্রধরপুর) মতো হেভিওয়েট প্রার্থীরা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সকাল ৭টা শুরু হয়ে বেলা ৩টে পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। শুধুমাত্র বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র জামশেদপুর (পূর্ব) এবং জামশেদপুর (পশ্চিম) কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বিকেল ৫টায় শেষ হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণের হার ৫৮.৮২ শতাংশ। বিধানসভা নির্বাচন সংক্রান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার নোডাল অফিসার তথা পুলিসের অতিরিক্ত ডিজি মুরারিলাল মিনা জানান, সিসাই কেন্দ্রের ৩৬ নম্বর বুথের সামনে গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা হয়। এক নিরাপত্তারক্ষীর আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হলে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিস। জানা গিয়েছে, গুলিচালনার ঘটনার পর ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়েন। যার জেরে এক পুলিসকর্মী জখমও হন। এ প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ডের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বিনয়কুমার চৌবে জানান, ঘটনাটির তদন্ত হবে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই বুথে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি। এদিকে, পশ্চিম সিংভূম জেলায় মাওবাদীরা একটি খালি বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুলিস সুপার ইন্দ্রজিৎ মাহাতো জানান, চাঁইবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত জোজো হাটু গ্রামের কাছে ঘটে ঘটনাটি। আবার পূর্ব সিংভূম জেলায় পৃথক একটি ঘটনায় ভোটের ডিউটি করার সময় এক পুলিসকর্মীর মৃত্যু হয়। যদিও হরিশচন্দ্র গিরি নামে বছর চুয়াল্লিশের ওই সাব ইন্সপেক্টরের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলেই জানিয়েছে প্রশাসন।
এদিন সকাল থেকেই বুথে বুথে ভিড় জমাতে শুরু করেন ভোটদাতারা। প্রবল শীত উপেক্ষা করে বাহারাগোড়া এবং চাঁইবাসা কেন্দ্রের একাধিক বুথে ভোটদাতাদের লম্বা লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করে ভোটদাতাদের আরও বেশি সংখ্যায় বুথে যাওয়ার অনুরোধ জানান। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ মোট ৪২ হাজার পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানান, দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণে বহু মাও-অধ্যুষিত এলাকাও ছিল। সে কথা মাথায় রেখেই সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। মোট ৬ হাজার ৬৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৯৪৯ টি ভোটকেন্দ্রকে অতি স্পর্শকাতর এবং ৭৬২টি ভোটকেন্দ্রকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল বলে জানান মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।