বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রের খবর, নিয়মিত পরিদর্শনই শুধু নয়, অনেক সময় দূরপাল্লার ট্রেনে ‘সারপ্রাইজ চেকিং’ও করা হচ্ছে। তার জেরেই অনিয়মের কারণে জরিমানা আদায়ের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত খাবারে অনিয়ম থাকায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। সেই জায়গায় চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত জরিমানা আদায়ের পরিমাণ এক লাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ লক্ষ ১৮ হাজার টাকায়।
জরিমানার অর্থ বাড়ার কারণ কী? তাহলে কি আগে সেইভাবে পরিদর্শন বা আচমকা পরিদর্শন হতো না? এ প্রশ্নের উত্তরে এই জোনের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, পরিদর্শন আগে কম হতো, এমনটা নয়। আসলে আগে অনিয়ম দেখলে তা অনেক সময় ‘ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন লিমিটেড’কে (আইআরসিটিসি) জানানো হতো। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিত। এবার সরাসরি জরিমানা করা হচ্ছে। আগামী দিনেও এমন অভিযান চলবে।
পরিদর্শন এবং জরিমানা ছাড়াও খাবারের মান উন্নত করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে এই জোনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রথমত, যে জায়গায় খাবার তৈরি হয়, সেই রান্নাঘরের পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে। যাতে কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারি চালানো যায়, তার জন্য সেখানে সিসিটিভি বসানো হয়েছে। খাবারের মান নিয়ে ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া’র শংসাপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ট্রেনের প্যান্ট্রি কার এবং রান্নাঘর কতটা স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিচ্ছন্ন, তা দেখার জন্য তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে ‘অডিট’ করানো হচ্ছে। যাত্রীরা সরাসরি যাতে খাবার নিয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন, তার জন্য একগুচ্ছ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, খাবারের মান নিয়ে আইআরসিটিসিও কড়া অবস্থান নিয়েছে। সম্প্রতি মোট ৪৭টি সংস্থাকে নোটিস দিয়ে খাবারের মান নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। সতর্ক করার পরও পরিষেবার মান আশানুরূপ না হওয়ায় ২৪টি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। বাকি সংস্থাগুলির পরিষেবার মানও আগামী দিনে খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে খবর।