কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অন্যদিকে, বহুজন সমাজবাদী পার্টির (বিএসপি) সুপ্রিমো মায়াবতী দেশে বেড়ে চলা নারী নির্যাতনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানান। একই সঙ্গে আদালত যাতে এই ধরনের ঘটনায় রাশ টানতে কেন্দ্রকে চটজলদি পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়, সেই আর্জিও জানান বিএসপি সুপ্রিমো। তাঁর দাবি, সারা দেশেই ধর্ষণ, খুন, শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে সেটা অত্যাধিক ঘটছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নিশানা করে মায়াবতী বলেন, ‘গত কয়েক বছরে বিশেষ করে যেদিন থেকে বিজেপির সরকার ক্ষমতায় এসেছে, নারীরা অসুরক্ষিত হয়ে পড়েছেন। উত্তরপ্রদেশে এই ঘটনা প্রথম ঘটেনি। এমন কোনও দিন নেই যেদিন কোনও ধর্ষণ, খুন অথবা শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে না রাজ্যে।’ এরপরই তাঁর সংযোজন, ‘এই বেড়ে চলা নারী নির্যাতনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট যদি নিজে থেকে উদ্যোগ নিয়ে কেন্দ্রকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়, আমার মনে একমাত্র তাহলেই সরকারের টনক নড়বে।’ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অবশ্য উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে অভিযুক্তদের ফাঁসি নিশ্চিত করার আর্জি জানান। তিনি বলেন, ‘উন্নাওয়ের মেয়েটির মৃত্যু প্রতিটি দেশবাসীর কাছে লজ্জার। ঈশ্বর ওই তরুণীর পরিবারকে শক্তি দিক। গোটা দেশ তাঁদের লড়াইয়ে পাশে রয়েছে। আশা করি উত্তরপ্রদেশ সরকার তাড়াতাড়ি বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে অভিযুক্তদের ফাঁসিতে ঝোলাবে এবং সমাজে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।’
গত বৃহস্পতিবার উন্নাওয়ে ধর্ষণের অভিযোগকারিণী তরুণীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় পাঁচ জন। তাদের মধ্যে দু’জনের বিরুদ্ধে ওই তরুণী একবছর আগে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়ে অভিযুক্তরা প্রতিশোধ নিতে তরুণীর উপর হামলা চালায়। আগুনে ওই তরুণীর শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকরা শতচেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি। ৪০ ঘণ্টার লড়াই থামিয়ে শুক্রবার রাতে দিল্লির হাসপাতালে মারা যান বছর তেইশের ওই তরুণী।