পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ক্ষোভ উগরে দেন উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি সরকার যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে তাতে রাজ্যে অপরাধীদের মনে ভয়-ডর বলে আর কিছু নেই। প্রিয়াঙ্কার কথায়, ওরা বলছে (বিজেপি সরকার) উত্তরপ্রদেশে অপরাধীদের আর কোনও স্থান নেই। কিন্তু যেভাবে নৈরাজ্য ছড়াচ্ছে ও রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ ঘটছে তাতে উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের জন্য আর কোনও জায়গা আছে কি না, তা নিয়েই সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। অভিযুক্তরা কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটির উপর অত্যাচার চালিয়েছে, পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তা শুনেছি। একটি ছোট্ট মেয়েকে (মৃতার পরিবারের) হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাই সে ভয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। মেয়েটির বাবাকে মারধর করা হয়েছে। জুন মাসে পরিবারটির চাষের জমিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবারটির উপর সম্ভাব্য সব রকমের অত্যাচার চালানো হয়েছে। এরপর এত কিছু ঘটে গেল (নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা প্রসঙ্গে)। অতীতেও আমরা দেখেছি, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বাঁচানো হয়েছে। রোজ এরকম ঘটনা ঘটছে। উত্তরপ্রদেশে আজ আর অপরাধীদের মনে ভয়-ডর বলে কিছু নেই। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নির্যাতিতার বাড়িতে আসার পর স্থানীয় মানুষের ঢল নামে গোটা এলাকায়। পরে নির্যাতিতার পরিবারের এক মহিলা সদস্য কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। তিনি জানান, উনি (প্রিয়াঙ্কা গান্ধী) বলেছেন, আমাদের হয়ে লড়াই করবেন।
উন্নাওয়ে নির্যাতিতার বাড়িতে আসার আগেই ট্যুইটারে সরব হন প্রিয়াঙ্কা। দিল্লির হাসপাতালে নির্যাতিতার মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। কংগ্রেস নেত্রীর অভিযোগ, উন্নাওয়ে গণধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটিকে কোনও নিরাপত্তা দেয়নি উত্তরপ্রদেশ সরকার। ওই জেলাতেই এর আগে একই ধরনের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও। উল্লেখ্য, উন্নাওয়ের আগের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত কুলদীপ সেনগার নামে বিজেপির এক বিধায়ক। জুলাই মাসে সেই নির্যাতিতার গাড়িতে ট্রাক এসে ধাক্কা মারে। প্রিয়াঙ্কার প্রশ্ন, পুলিস কেন এফআইআর নিতে চায়নি? সেই অফিসারদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ থামাতে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?
রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পাশাপাশি উন্নাও ইস্যুতে দলীয়ভাবে সরব হয়েছে কংগ্রেসও। কংগ্রেস মুখপাত্র, সুপ্রিয়া শ্রীনাতে বলেন, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। উত্তরপ্রদেশ দেশের ধর্ষণ-রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিও তুলেছেন তিনি। উন্নাও কাণ্ড নিয়ে এদিন লখনউয়ের হজরতগঞ্জ এলাকায় প্রতিবাদে শামিল হন কংগ্রেস কর্মীরা। প্রতিবাদী কংগ্রেস কর্মীদের উপর লাঠি চালায় পুলিস।