কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
নুসরত জাহান (ট্যুইটার): বিচার বা আইনব্যবস্থার মধ্যে কাউকে এই ব্যাটনটা তুলে নিতেই হতো ন্যায়প্রতিষ্ঠার জন্য। যে আওয়াজ উঠেছিল, সেটা তাঁরা শুনেছেন। দোষীরা আর বেঁচে নেই।
দেব (ট্যুইটার): অভিনন্দন হায়দরাবাদ পুলিস। এটার প্রয়োজন ছিল।
কৌশিক সেন: আমি খুশি। বাকি সবার মতোই এটা আমারও প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া। কিন্তু তলিয়ে ভাবলে কিছুটা ভয়ও করছে। এটাই যদি বিচার হয়, তাহলে ধর্ষণের সবক্ষেত্রেই তা কার্যকর করা হবে কি? সেটা সম্ভব হবে, নাকি উচিত হবে? হায়দরাবাদের ধর্ষিতার মা বলেছেন, তাঁর মেয়ের আত্মা শান্তি পেয়েছে। আমি তাঁর জায়গায় থাকলে ঠিক সেটাই চাইতাম। একই বিচার চাওয়ার অধিকার রয়েছে এই অত্যাচারের বলি অন্যান্য মেয়েদের পরিবারেরও। সেটা কি মিলবে। এখানে পুলিস এনকাউন্টার করে বাহবা কুড়োচ্ছে। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায়, বিচারব্যবস্থায় দেরি হচ্ছে, কারণ পুলিস তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে দেরি করেছে বা ঢিলেমি দিয়েছে। সব বিষয়েই পুলিসের সজাগ থাকা উচিত।
পি সি সরকার (জুনিয়র): এককথায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া কঠিন। বাঙালি বরাবরই আস্ফালন সর্বস্ব। নিজের কাজটা নিজে করলে এ ধরনের ঘটনা ঠেকানো যায়। যতদিন অসভ্য সিনেমা হবে, পত্র-পত্রিকায় উলঙ্গ ছবি ছাপা হবে, ততদিন এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
শুভাপ্রসন্ন: সারাদিন আমার সংস্থার অনুষ্ঠানের কাজে ব্যস্ত থাকায় আমার বিষয়টি জানা নেই। তাই মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
অশোক গঙ্গোপাধ্যায়: আমি হায়দরাবাদ পুলিসের এই কাজকে একেবারেই সমর্থন করতে পারি না। পুলিস যে গল্প বলছে, সেটা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। ওই চারজন ঘৃণ্য কাজ করলেও তারা সন্ত্রাসবাদী ছিল না। তাদের কোনও অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেই। তাই তারা অতজন পুলিসকর্মীর মধ্যে থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করবে, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে কী হয়েছিল। এরপর তো সাধারণ মানুষ আর আইন-আদালতের দ্বারস্থ হবে না। টাকা দিয়ে পুলিস বা গুণ্ডা লেলিয়ে কাজ হাসিল করার চেষ্টা করবে। এই কাজ দেশের সংবিধান এবং মানবাধিকারের তীব্র বিরোধী।