বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তি অনুসারে যেসব রেল আধিকারিক/কর্মীর বয়স ৫০ পেরিয়েছে এবং তাঁদের অবসর নেওয়ার জন্য অন্তত এক বছরের বেশি সময় হাতে রয়েছে, তাঁরাই এই কর্ম দক্ষতা সংক্রান্ত পর্যালোচনার আওতায় পড়বেন। নির্দিষ্ট ওই ৩২ জনের ক্ষেত্রে অবশ্য সেইসব রেল আধিকারিককেও ধরা হয়েছে, যাঁদের বয়স ২০২০ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ৫০ বছর হবে। এক্ষেত্রে যে ১৭৮০ জন কর্মী বা আধিকারিকের কর্ম দক্ষতার রিভিউ হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৪১০ জনই রেলের গ্রেড-এ অফিসার। ১৩১ ও ১১৮ জন যথাক্রমে মিসলেনিয়াস-এ এবং বি। সি এবং ডি গ্রুপের রয়েছেন ১২১ জন কর্মী। ওই ১৪১০ জন গ্রেড-এ আধিকারিকের মধ্যে ২২ জনের কাজেই সন্তুষ্ট নয় রেলমন্ত্রক। তাঁদের সময়রে আগেই অবসর নিতে বলা হয়েছে। সি এবং ডি গ্রুপের ছজন ও মিসলেনিয়াস-এ, বি গ্রুপের মোট চারজনকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রেল জানাচ্ছে, নিয়মমতো প্রত্যেক রেল কর্মী, আধিকারিকের বয়স ৫০ বছর হলেই তাঁকে কর্ম দক্ষতা সংক্রান্ত পর্যালোচনার আওতায় পড়তে হবে। শুধুমাত্র গ্রুপ-সির ক্ষেত্রে এই বয়সসীমা ৫৫ বছর। রেল জানিয়েছে, এই ১৭৮০ জনের ক্ষেত্রে কর্ম দক্ষতা নিয়ে পর্যালোচনার জন্য একের পর এক বৈঠক হয়েছে। যদিও এই সংক্রান্ত যে ‘ব্রিফ’ তৈরি করা হয়েছে রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে, সেখানে এহেন পর্যালোচনা সংক্রান্ত ইস্যুতে কার্যত অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই ব্রিফে বলা হয়েছে, বৈঠকগুলো ঠিকমতো হচ্ছে কি না, সেই ব্যাপারে নিয়মিতভাবে নজরদারি চালায় না জোনাল রেলওয়েগুলি। রেল বোর্ডেই গ্রুপ-এ আধিকারিকদের নিয়ে এই সংক্রান্ত শেষ পর্যালোচনা হয়েছিল ২০১৬-১৭ সালে। যেখানে ১৮২৪ জন আধিকারিকের কর্মদক্ষতা নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছিল। যার মধ্যে চারজনকে সময়ের আগেই অবসর নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এমন প্রচুর আধিকারিক রয়েছেন, যাঁদের কর্মকুশলতার পর্যালোচনা করা বাকি রয়েছে। সেগুলি এখনও রিভিউ করাই হয়নি।