বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত ২৮ নভেম্বর শপথ গ্রহণ করেন উদ্ধব। তাঁর সঙ্গে তিন জোট শরিকের দু’জন করে বিধায়কও শপথ নিয়েছিলেন। তাঁরা হলেন, শিবসেনার একনাথ সিন্ধে ও সুভাষ দেশাই, এনসিপির জয়ন্ত পাতিল ও ছগন ভুজবল এবং কংগ্রেসের বালাসাহেব থোরাট ও নীতিন রাউত। এদিকে, বিজেপি দপ্তর বণ্টন নিয়ে হইচই শুরু করলেও তাতে পাত্তা দিতে নারাজ এনসিপি ও কংগ্রেস। এব্যাপারে এনসিপির জয়ন্ত পাতিল এবং কংগ্রেসের বালাসাহেব থোরাট একযোগে জানিয়েছেন, দু’-একদিনের মধ্যে এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহের শুরুতে দিল্লিতে কংগ্রেস ও এনসিপির শীর্ষনেতারা বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে দপ্তর বণ্টন নিয়ে ‘ইতিবাচক’ আলোচনা হয়েছে। ওই বৈঠকে এনসিপির তরফে শারদ পাওয়ার ও প্রফুল প্যাটেল এবং কংগ্রেসের তরফে আহমেদ প্যাটেল, বালাসাহেব থোরাট, অশোক চ্যবন ও নীতিন রাউত উপস্থিত ছিলেন। তবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিবসেনার সঙ্গে একপ্রস্থ কথা বলবেন কংগ্রেস ও এনসিপির নেতারা।
মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মোট সদস্য সংখ্যা ২৮৮। এর ১৫ শতাংশ অর্থাত্ সর্বাধিক ৪৩ জন মন্ত্রী হতে পারবেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যা খবর তাতে, মন্ত্রিসভায় সেনার ১৬ জন (মুখ্যমন্ত্রীর পদ সহ), এনসিপির ১৫ জন এবং কংগ্রেসের ১২ জন সদস্য থাকতে পারেন। ইতিমধ্যেই বিধানসভার স্পিকারের পদ কংগ্রেসের দখলে রয়েছে।
এদিকে, শর্ত অনুযায়ী, এনসিপি থেকে একজনের উপমুখ্যমন্ত্রী পদ পাওয়ার কথা। কিন্তু, এই পদে কাকে বাসানো হবে, তা ঠিক করতে গিয়ে কালঘাম ছুটেছে শারদ পাওয়ারের। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী জয়ন্ত পাতিলকে উপমুখ্যমন্ত্রী করবেন বলে আগেই কথা দিয়েছিলেন এনসিপি সুপ্রিমো। কিন্তু, সমস্যা তৈরি হয়েছে অজিত পাওয়ারকে নিয়ে। দলীয় সূত্রে খবর, তিনিও এখন উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য জোড়াজুড়ি করছেন। এই টানাপোড়েন থেকে বেড়িয়ে আসতে সকলে শারদ পাওয়ারের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে, বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের পর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে বলে খবর।