গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ঠিক হয়েছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যে যার নির্বাচনী কেন্দ্রে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিপক্ষে মানুষের সমর্থনে ঝাঁপাবে। মোদি সরকার তথা বিজেপি সম্পর্কে মানুষের মনে আক্রোশ তৈরি করতে প্রচার বাড়ানো হবে। সোশাল মিডিয়া, বৈদ্যুতিন মাধ্যম, সভার মাধ্যমে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ইস্যুতে কেন্দ্র বিরোধী জনমত তৈরির চেষ্টা হবে। মোদি বিরোধী স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে বিরোধীদের সমন্বয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, তৃণমূলের সৌগত রায়, ডেরেক ও’ব্রায়ান, এনসিপির প্রফুল্ল প্যাটেল, সিপিএমের টি কে রঙ্গরাজনের মতো এমপিরা।
বৈঠকের পর ডেরেক জানান, মোদি সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল দেশ বিরোধী বিল। সংবিধানকে অপমান করা হচ্ছে। ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের চেহারাই বদলে দিতে চাইছে মোদি সরকার। এই বিল কেবল আদিবাসী বিরোধীই নয়। হিন্দু বিরোধীও। মন্তব্য করেন তিনি। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আর এনআরসি’র ইস্যু একই দাবি করে ডেরেক এদিন সরকারের সমালোচনা করে বলেন, মোদি সরকার যেখানে অসমের মতো একটি মাত্র রাজ্যেই এনআরসিতে ব্যর্থ, সেখানে গোটা দেশেই সেই ফেল মডেলকে কার্যকর করতে চাইছে। আমরা কোনওভাবেই পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হতে দেব না। দলনেত্রীর সুর বজায় রেখেই এদিন হুমকি দেন ডেরেক।
একইসঙ্গে বিরোধীদের প্রশ্ন, কাশ্মীরের বিশেষ স্ট্যাটাস প্রত্যাহার করতে যখন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল হল, এক দেশ এক নিশান বলে স্লোগান তুলল বিজেপি, সেখানে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে কেন বাদ থাকবে উত্তর-পূর্বের কয়েকটি রাজ্য সহ সংবিধানের ষষ্ঠ শিডিউলের আওতাভুক্ত এলাকা? মোদি সরকারই তো একই দেশে দু’রকম আইন কার্যকর করতে চাইছে। তাই এই বিল দেশবিরোধী বিল। মন্তব্য করেন ডেরেক। উল্লেখ্য, সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনায় তৃণমূলের পক্ষে রাজ্যসভায় অংশ নেবেন ডেরেক। লোকসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।