পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তবে এর থেকেও বড় চিন্তার বার্তা হল, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মুদ্রাস্ফীতির যে হারের পূর্বাভাস দিয়েছে সেটি হল ৫.১ শতাংশ। এই পূর্বাভাস যদি সত্যি হয়, তা হলে এই প্রথম মোদি সরকারের আমলে ৫ শতাংশ ছাড়াতে চলেছে মুস্রাস্ফীতির হার। আজ সকালে যখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস এই ঘোষণাগুলি করে সরকারের রক্তচাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। দুপুরে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম শানিত আক্রমণ করে সরকারকে চরম বিব্রত করেছেন। গত রাতে জামিনে মুক্তি পেয়েই আজ চিদম্বরম কংগ্রেসের সদর দপ্তরে এসে অর্থনীতি নিয়ে মোদি সরকারকে সোজাসুজি ‘অযোগ্য’ আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, এই সরকার অর্থনীতি সম্পর্কে অজ্ঞ। অযোগ্যরাই এই সরকারে অর্থনীতির দায়িত্বে। অর্থনীতির মন্দাকে ম্যানমেড বিপর্যয় বলেছেন চিদম্বরম। আরও বলেছেন, একটা পরিসংখ্যান লক্ষ্য করুন। গত ৫ টি ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার হল, প্রথমে ৮, তারপর ৭, ৬.৬, ৫.৮ ও ৫ এবং শেষে ৪.৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রত্যেক তিন মাসে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমছেই। ৮ থেকে শুরু করে সাড়ে ৪ শতাংশে এসে শেষ। একেই বোধহয় বলে আচ্ছে দিন! আজকাল অর্থনীতি নির্ধারিত হয় একটি মাত্র ঘরে। সেই ঘরের নাম প্রধানমন্ত্রীর অফিস। ঈশ্বর রক্ষা করুন এই দেশকে।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর থেকে এভাবেই চরম আক্রমণ আসার পাশাপাশি মোদি সরকারের কাছে দ্বিগুণ ধাক্কা হল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ কমিটির বিবৃতি। বিরোধীদের আশঙ্কা সত্য করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর জানিয়েছেন, জিএসটি সংগ্রহ কমেছে। সম্ভবত শুল্ক আদায়ও কমবে।