অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, আপাতত ৩৩টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নীকরণ হবে। তিনটি পর্যায়ে এই সংস্থাগুলি থেকে সরকারের অংশীদারি ছেড়ে দেওয়া হবে। কেবল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাই নয়। জয়েন্ট ভেঞ্চারের পাশাপাশি যেখানে সরকার ভর্তুকি দেয়, সেসব সংস্থারও বিলগ্নীকরণ হবে। ইতিমধ্যেই হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড, রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন কর্পোরেশন, হসপিটাল সার্ভিসেস কনসালটেন্সি লিমিটেড, ন্যাশনাল প্রোজেক্টস কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন এবং ড্রেজিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার বিলগ্নীকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে বলে লিখিতভাবে জানিয়েছে কেন্দ্র।
প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পথে রয়েছে ব্রিজ অ্যান্ড রুফ, বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, আইটিডিসি, পবন হংস, এয়ার ইন্ডিয়ার মতো ২৩টি সংস্থা। পাশাপাশি সম্প্রতি শিপিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (নুমালিগড় তৈল শোধনাগার বাদ দিয়ে) মতো পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিলগ্নীকরণ হবে বলে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। লাভজনক হওয়া সত্ত্বেও কেন বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে সরকারের কাছে জানতে চান তৃণমূলের রাজ্যসভার এমপি নাদিমুল হক। তারই লিখিত জবাবেই মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর বলেছেন, প্রতিযোগিতামূলক সময়ে ওইসব সংস্থাগুলির আরও আধুনিকীরণ প্রয়োজন। বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের হাতে গেলে তা সম্ভব হবে।
আর এই জবাব হাতে পেয়েই সরকারের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল। লাভজনক সংস্থাকেও কেন বিক্রি করা হবে? প্রশ্ন দলের। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নীকরণের বিরোধিতায় বাজেট অধিবেশনে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিল তৃণমূল সংসদীয় দল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও কেন বিএসএনএল, এমটিএনএলের মতো সংস্থাকে বিক্রির পরিকল্পনা হচ্ছে, তা এবার সভার মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর মুখ থেকে জানতে চায় তৃণমূল। সেই মতো রাজ্যসভায় ‘কলিং অ্যাটেনশনে’র নোটিস জমা দিয়েছে টিএমসি। তৃণমূলনেত্রীর পরিকল্পনা মতো নোটিসটি দিয়েছেন দলের শ্রমিক নেত্রী দোলা সেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রির উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করা হবে বলেই ঠিক করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্যসভার ডেপুটি লিডার সুখেন্দুশেখর রায়ের প্রশ্ন, কেন্দ্র যখন নিজেই বলছে, লাভজনক সংস্থাও বিক্রি করে দেওয়া হবে, তাহলে মোদি সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্যটা কী? দেশটাকেই বেচে দেওয়া?
অন্যদিকে, রাজ্যের ২,১০০ কোটি টাকারও বেশি জিএসটি পাওনা থাকলেও কেন তা কেন্দ্র দিচ্ছে না, তা নিয়েও সরব হবেছে টিএমসি। দলের রাজ্যসভার এমপি মানসরঞ্জন ভুঁইয়া লিখিত জবাব চেয়েছেন। সেখানেই সরকার লিখিতভাবে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গকে ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে ৯ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে দেওয়া হয়েছে ১৪ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। মানসবাবুর প্রশ্ন, কেন পশ্চিমবঙ্গে বকেয়া দেওয়া হচ্ছে না?