রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এই হিন্দুরাষ্ট্র কৈলাসের অবস্থান ঠিক কোথায়, সে সম্পর্কে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই কারও কাছে। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ আমেরিকায় ইকুয়েডরের কাছে একটি দ্বীপ কিনে নিয়েছেন নিত্যানন্দ। সেখানেই স্বঘোষিত হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। নিত্যানন্দের বহু প্রভাবশালী অনুগামী রয়েছেন। তাঁরাই ইকুয়েডর সরকারের থেকে এই দ্বীপ কিনতে নিত্যানন্দকে সাহায্য করেছেন। সংস্থার ওয়েবসাইটে কৈলাসের উদ্দেশ্য নিয়ে বলা হয়েছে, ‘সনাতন হিন্দু ধর্ম সংরক্ষণ এবং রক্ষা করার উদ্দেশ্য নিয়েই কেবল কৈলাস প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। বরং বিশ্বের কাছে হিন্দু ধর্মের উপর নির্যাতনের অজানা কাহিনীই তুলে ধরবে কৈলাস।’
রিপাবলিক অব কৈলাসের রয়েছে নিজস্ব ত্রিভূজাকৃতি পতাকা ‘ঋষভ ধ্বজা’। তাতে রয়েছে পরমশিব এবং নন্দীর ছবি। তবে দেশের সরকারি ভাষা হিসেবে ঠাঁই হয়নি হিন্দির। ইংরেজি, সংস্কৃত এবং তামিলই কৈলাসের প্রধান ভাষা। রয়েছে দেশের নিজস্ব পাসপোর্ট। কৈলাসে প্রবেশ করতে গেলে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার অনুমোদন লাগবে। তাছাড়া নিত্যানন্দের অনুগামী এবং তাঁর আদর্শের প্রচারে অর্থদাতারাও এখানে প্রবেশ করতে পারবেন। একটি সূত্রে আবার দাবি করা হয়েছে যে জনপ্রিয় দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি ‘মা’ নামে পরিচিত, তাঁকেই কৈলাসের প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে। মন্ত্রিসভা তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নতুন এই দেশে থাকছে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ, বাণিজ্য, আবাসন, পরিষেবা এবং শিক্ষা মন্ত্রক। এছাড়াও সনাতন হিন্দু ধর্মকে জাগ্রত করার লক্ষ্যে কাজ করবে এমন একটি দপ্তরও রয়েছে এই মন্ত্রিসভায়।
এই দেশে ধার্মিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। দান হিসেবে পাওয়া অর্থকে তাঁর প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে হিন্দু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তৈরির পরিকল্পনাও করা হয়েছে। সংস্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, সমস্ত দান ভবিষ্যতে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে গ্রহণ করাই লক্ষ্য নিত্যানন্দের। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে। শেষ আপডেট হয়েছে গত ১০ অক্টোবর। পানামায় রেজিস্ট্রিকৃত এই ওয়েবসাইটটির আইপি অ্যাড্রেস রয়েছে আমেরিকার।