অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
২০১২ সালে একটি বিতর্কিত ভিডিও সামনে আসে। তাতে একজন অভিনেত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় নিত্যানন্দকে। এরপরেই ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। এছাড়াও, ধর্ম ও অধ্যাত্মবাদ শেখানোর নামে এক ভক্তকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আলাদা একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। গত মাসে নিত্যানন্দের আরও একটি যৌন হেনস্তার খবর সামনে আসে। আমেদাবাদে তাঁর আশ্রমে এক বালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিস তখন জানায়, ফেরার এই ধর্মগুরু দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
ভক্তরা এখন বলছেন, ইকুয়েডরের কাছে কৈলাসে যে সার্ভভৌম হিন্দুরাষ্ট্র নিত্যানন্দ প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেখানে ওশোর পদাঙ্ক অনুসরণ করে ধর্মশিক্ষা দেওয়া হবে। আশির দশকে আমেরিকায় এসে ওরেগন প্রদেশের অ্যান্টিলোপ শহরের মধ্যেই রজনীশপুরম নামে একটি শহর প্রতিষ্ঠা করেন ওশো। তাঁর নিজস্ব শিক্ষা পদ্ধতিতে অ্যান্টিলোপ শহরের শান্তি এবং স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত হয়। ওশোর অনুগামীরা শহর দখল করে নেয়। ভয় আর সন্ত্রাসের ভীতি গ্রাস করে তাঁদের। জঘন্য অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে অ্যান্টিলোপ।
নিত্যানন্দের হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম। ট্যুইটারে তাঁর সঙ্গে ওশোর পাশাপাশি জিম জোন্সের তুলনা টানা শুরু হয়েছে। আমেরিকার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ধর্মীয় নেতা ছিলেন জোন্স। তিনিও একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর এক ইশারাতেই হাজির হতেন হাজার হাজার অনুগামী। নিত্যানন্দের মতোই তিনিও একটি শহর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নাম দিয়েছিলেন জোন্স টাউন। অনুগামীদের নিয়ে সেখানেই থাকতেন জোন্স। ভক্তদের মগজধোলাই করে জোন্স গণ আত্মহত্যায় প্ররোচিত করতেন। ১৯৭৮ সালে জোন্স টাউনে ৯০০ জনের বেশি মানুষকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ৯/১১ হামলার আগে এটাই ছিল আমেরিকায় সবচেয়ে বড় গণ হত্যা। বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, জোন্স টাউন, রজনীশপুরমের পরে কৈলাস… পরম্পরার শেষ কোথায়?