অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
কাজে দক্ষতার প্রমাণ দিতে না পারলে রেলকর্মীদের ছাঁটাই করে দেওয়া হতে পারে বলে তীব্র জল্পনা ছড়িয়েছিল। সেইসময়ও রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে রীতিমতো বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছিল, একজন রেলকর্মীকেও ছাঁটাইয়ের প্রস্তাব রেলবোর্ডের কাছে নেই। আজ লোকসভায় রেলমন্ত্রীর এই সংক্রান্ত লিখিত জবাবে এহেন জল্পনার ইতি ঘটল বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এদিন লোকসভায় লিখিতভাবে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে রেলের ৩ লক্ষ ৬ হাজার ২২৭টি পদ ফাঁকা রয়েছে। যেখানে রেলে গেজেটেড এবং নন-গেজেটেড মিলিয়ে মোট ১৫ লক্ষ ২৪ হাজার ১২৭ জন কর্মী থাকার কথা।
রেলমন্ত্রী এদিন লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে মোট সাতবার রেলের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ ৮৩ হাজার ৬৭৪টি শূন্যপদে লোক নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ২০১৮ সালে জারি করা হয়েছে তিনটি বিজ্ঞপ্তি। যার মধ্যে রয়েছে গ্রুপ সির ৭৭ হাজার ৯০৯টি শূন্যপদ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি এবং লেভেল ওয়ানের ৬৩ হাজার ২০২টি শূন্যপদে নিয়োগ বিষয়ক বিজ্ঞপ্তি। ২০১৯ সালে গ্রুপ সির ৩৮ হাজার ৭৯৪টি এবং লেভেল ওয়ানের ১ লক্ষ ৩ হাজার ৭৬৯টি শূন্যপদে নিয়োগ সংক্রান্ত মোট চারটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রেল। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের সবকটি নিয়োগ পরীক্ষাই সম্পূর্ণ হয়েছে। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৫০৭টি পদের জন্য প্যানেল ঘোষণাও হয়ে গিয়েছে। বাকি প্যানেলের ঘোষণা হবে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে। ২০১৯ সালে যে চারটি নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল, তার মধ্যে একটি ক্ষেত্রে গ্রুপ সির কিছু পদের পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। প্যানেল ঘোষণা হয়েছে ১ হাজার ৫১৯টি পদের। অন্যদিকে গ্রুপ সির বাকি থাকা ৩৬ হাজার ৮৭১টি শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। ২০২০ সালের মধ্যে তার প্যানেল ঘোষণা করা হতে পারে। লোকসভায় লিখিতভাবে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।