অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
যদিও সরকারের জবাবে সন্তুষ্ট নয় সোনিয়া গান্ধীর দল। তাই সভায় প্রশ্ন তোলার পরেই এই বিষয়টি নিয়েই সংসদ ভবনে এআইসিসির পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনও করা হয়। সভার মধ্যে এবং সাংবাদিক সম্মেলন, উভয় জায়গাতেই বিজেপির অরুণাচলের এমপির তোলা প্রশ্নকে অস্ত্র করেই তোপ দাগেন লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, ডোকা লা থেকে শুরু করে আন্দামান নিকোবর, চীন ভারতের ভূখণ্ডে দখলদারির চেষ্টা চালিয়ে গেলেও কেন চীনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারছে না?
লোকসভায় এদিন জিরো আওয়ারে অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ১৯ নভেম্বর বিজেপির তাপির গাঁওয়ের এমপি অরুণাচল প্রসঙ্গে আশঙ্কার কথা বলেছেন। বিষয়টি অত্যন্ত সিরিয়াস। কিন্তু সরকার চীনের প্রতি আক্রমণাত্মক নয়। অধীরবাবু বলেন, পাকিস্তান ভারত বিরোধী সন্ত্রাস চালায়। আর পাকিস্তানকে প্রশয় দেয় চীন। সম্প্রতি, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকেও পাকিস্তানের হয়েই সওয়াল করেছে চীন। তারপরেও কেন চীনের বিরুদ্ধে মোদি সরকার নরম? লোকসভার কংগ্রেস দলনেতার বক্তব্য, নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে চলে আসছে চীন। রেললাইন পাতছে। রাস্তা তৈরি করছে। তাঁর প্রশ্ন, পাকিস্তানকে যেখানে আমরা সবরকম জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি, সেখানে চীনের আগ্রাসী অবস্থান জেনেও কেন নরম কেন্দ্র?
যদিও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তাঁকে তো বটেই, গোটা দেশকে আশ্বস্ত করতে বলেন, ভারত সবরকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৈরি। তিনি বলেন, লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল নিয়ে মাঝেমধ্যেই দু’দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। চীনের সেনা কখন আমাদের এদিকে চলে আসে। আবার কখনও আমাদের সেনাও ওদিকে চলে যায়। তাই এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে নানাস্তরে বৈঠক, আলোচনা চলতেই থাকে। রাজনাথ সিং জানান, কখনও কূটনৈতিক স্তরে, যেখানে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাকেন, কখনও যুগ্মসচিবস্তরে, আবার কখনও ভারত-চীন কমান্ডার বৈঠক হয়। তাই বিষয়টি নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। ভারত সবরকমভাবে সতর্ক এবং যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে।