অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
পিএনবি কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্তকে দেশে ফেরাতে ইতিমধ্যেই আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত। এদিন বিচারক জানান, আগামী বছরের ১১ মে এই মামলার শুনানি শুরু হবে। চলবে পাঁচ দিন।
গত মাসে চতুর্থবারের জন্য জামিনের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৪৮ বছর বয়সি এই হীরে ব্যবসায়ী। চিফ ম্যাজিস্ট্রেট এমা আরবুথনটের এজলাসে জামিন পেতে মরিয়া মোদি সুরক্ষা অর্থের পরিমাণ ২০ লক্ষ পাউন্ড থেকে বাড়িয়ে ৪০ লক্ষ পাউন্ড করার পাশাপাশি গৃহবন্দি থাকারও প্রস্তাব দেন। গত মার্চ মাস থেকে জেলে বন্দি মক্কেলের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিও আদালতে তোলেন নীরব মোদির আইনজীবীরা। নীরব মোদির মানসিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও আদালতে জমা দেওয়া হয়। খামবন্ধ ওই গোপন রিপোর্টটি পরে ফাঁস হয়ে যায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে। এই ঘটনায় পিছনে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা রয়েছে বলে জানান মোদির আইনজীবীরা। বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে বিচারক বলেন, ‘চিকিৎসকের রিপোর্ট ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই ধরনের ঘটনা ভারত সরকারের প্রতি আদালতের বিশ্বাসকে খর্ব করে।’ শুনানি চলাকালীন মোদির আইনজীবীদের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের (সিপিএস) আইনজীবী জেমস লুইস। ভারত সরকারের পক্ষে এই মামলা লড়ছে সিপিএস। সিপিএসের আইনজীবী লুইস জানান, চিকিৎসকের গোপন রিপোর্ট ফাঁস হয়ে যাওয়াটা অনভিপ্রেত। তবে ভারতের দিক থেকে এই বিষয়টি ফাঁস হয়নি। পাশাপাশি, জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে তিনি জানান, ছাড়া পেলে ব্রিটেন ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন। প্রভাবিত করতে পারেন সাক্ষীদেরও। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে হীরে ব্যবসায়ীর জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন চিফ ম্যাজিস্ট্রেট এমা আরবুথনট। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের ওয়ান্ডসওর্থ জেলেই ফিরতে হয় তাঁকে।
জানা গিয়েছে, আগামী বছরের ১১ মে থেকে ১৫ পর্যন্ত নীরব মোদির প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। তার আগে, ফেব্রুয়ারি মাসে কেস ম্যানেজমেন্টের শুনানি শুরু হতে পারে।