পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তিহার জেলে তিন মাসেরও বেশি বন্দি থাকার পর ৭৪ বছরের চিদম্বরমের জামিন হওয়ায় আজ কংগ্রেস শিবিরে ছিল খুশি ও স্বস্তির হাওয়া। সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলছে। এই অধিবেশনে মোদি সরকারকে কোণঠাসা করার ক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলির প্রধান ইস্যুই হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতি। একের পর এক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, দেশের অর্থনীতি প্রায় তলানিতে। চিদম্বরম প্রতিটি অর্থনৈতিক সূচক নিয়েই মাঝেমধ্যেই তাঁর পরিবারের মাধ্যমে মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে ট্যুইট করে গিয়েছেন। এমনকী গতকালই তিনি ট্যুইট করে কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন, যে দেশের সরকার বলতে পারে ব্যক্তিগত আয়কর কমিয়ে দিয়ে অর্থনীতি বাঁচাবেন সেই দেশের অর্থনীতিকে ঈশ্বর রক্ষা করুন। বস্তুত অর্থনীতি নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করার ক্ষেত্রে চিদম্বরমের অভাব প্রবল ভাবে অনুভব করেছে কংগ্রেস তথা বিরোধী পক্ষ। একা কুম্ভের মতোই এতদিন ধরে মোদি সরকারকে তথ্য পরিসংখ্যান এবং বিশ্লেষণ দিয়ে আক্রমণ করে গিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিং। এবার চিদম্বরম এই অর্থনীতির মহামন্দার মধ্যেই জামিনে মুক্ত হওয়ায় তিনি ফের আজকালের মধ্যেই যে সংসদে এসে কংগ্রেসের মনোবল বাড়াবেন তা বলাই বাহুল্য।
চিদম্বরম যতদিন জেলে ছিলেন, দল যে সম্পূর্ণ তাঁর পাশে আছে এই বার্তা দিতে সোনিয়া গান্ধী থেকে রাহুল প্রিয়াঙ্কা সকলেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে জেলে গিয়েছেন। কংগ্রেসের তাবৎ প্রথম সারির ব্যরিস্টাররা ছিলেন তাঁর পক্ষের আইনজীবী। সুতরাং অবশেষে তিনি জামিন পাওয়ায় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আরও যে জোরকদমে তাঁর গ্রেপ্তারিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসাবেই প্রচার করবে সেকথা এখন থেকেই স্পষ্ট। আজ রাহুল গান্ধী আবার সেকথাই বলেছেন। কংগ্রেস বলেছে, সত্যের জয় হবেই। সংসদে তাঁর আগমনের অপেক্ষায় রীতিমতো স্বাগত জানানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আজই সুপ্রিম কোর্টের রায় আসার পর রীতিমতো উৎসবে মেতে ওঠে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। লাড্ডু বিতরণ শুরু হয়। তিহার জেলের বাইরে ছিল ঢাকঢোল সহ কংগ্রেস সমর্থকরা।