কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সংসদেও প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরই ওই বিল পাশ হয়েছে। তা হলে এখন কেন কেন্দ্র টাকা মেটাচ্ছে না! কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন স্বীকার করেছেন যে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা এসে সমস্যার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা বুঝতে পারছি সমস্যা হচ্ছে। আমি রাজ্যগুলিকে আশ্বস্ত করতে চাই যে যত দ্রুত সম্ভব বকেয়া জিএসটি মিটিয়ে দেওয়া হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাকে ৬টি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন। এখনই বলা সম্ভব নয় যে কত টাকা বকেয়া রয়েছে রাজ্যগুলির। তবে এটা নিয়ে কোনও সংশয় নেই যে কেন্দ্রীয় সরকার ওই ক্ষতিপূরণ দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই আমাদের ওই জিএসটি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ৬ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, পেনশন বন্ধ করে দিতে হবে নাকি এরপর? আমরা আমাদের রাজ্যবাসীর কাছে কী জবাব দেব? এভাবে চলতে পারে না।
এর উত্তরে অর্থমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কোনও সময়সীমা স্থির করে দেননি যে ঠিক কবে রাজ্যগুলিকে প্রাপ্য মেটানো হবে। দিল্লির অর্থমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বলেছেন, জিএসটি বাবদ ৫০ হাজার কোটি টাকার তহবিলে রয়েছে। তা হলে কেন কেন্দ্র টাকা মেটাচ্ছে না? দিল্লি একাই পায় ৩৬০০ কোটি টাকা। বড় রাজ্যগুলির বকেয়া আরও অনেক বেশি। আজ ৬টি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে দিল্লি এসে কেন্দ্রকে বকেয়া টাকা মেটাতে চেপে ধরেছেন এবং একপ্রকার বার্তা দিয়েছেন দেশজুড়ে যে, মোদি সরকার মুখে জিএসটির জয়গান করছে, অথচ রাজ্যগুলিকে টাকা মেটাচ্ছে না। এই প্রবণতা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কারণ ধীরে ধীরে একটির পর একটি রাজ্য বিজেপির হাতছাড়া হচ্ছে, আর বিরোধী দলের হাতে থাকা সরকারগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের উপর প্রবল চাপ বাড়াচ্ছে নানাবিধ ইস্যুতে। যা রাজনৈতিকভাবেও বিজেপির কাছে বিপজ্জনক। কারণ আজ ৬টি বিরোধী দলের রাজ্য সরকারের অর্থমন্ত্রীরা এসে জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে গিয়েছে দিল্লিতে এসেই। এই তালিকায় আরও যোগ হয়েছে মহারাষ্ট্র। আজ আসেনি পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অনেক আগেই এই নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি চিঠিও দিয়েছেন কেন্দ্রকে বকেয়া চেয়ে। জিএসটি ইস্যু বার্তা দিচ্ছে বিরোধী দলের শাসিত রাজ্যগুলির সংখ্যা যত বাড়ছে, ততই অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে যাচ্ছে রাজ্যগুলির কেন্দ্রবিরোধী জেহাদ!