অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
গুলশন বাসুদেবার ফ্ল্যাট থেকে তাঁর দুই সন্তানের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা করে পুলিশ। একইসঙ্গে মিলেছে দেওয়ালে লেখা গুলশনের শেষ ইচ্ছা, ‘আমাদের একসঙ্গে পোড়াবেন।’ শুধু ইচ্ছাপ্রকাশ নয়, নিজেদের অন্ত্যেষ্টির ব্যবস্থা গুলশন করে গিয়েছিলেন। টেবিলে নগদ ১০ হাজার টাকা রেখে গিয়েছিলেন তিনি। ওই টাকা তাঁদের শেষকৃত্যে খরচ করতে অনুরোধ করেন। আত্মহত্যার আগে পোষা খরগোশটিকেও হত্যা করেন গুলশন। তাঁদের পর পোষ্যটির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়েই সম্ভবত এই কাণ্ড করেছেন তিনি বলে পুলিশের অনুমান। আরও জানা গিয়েছে, আত্মহত্যার আগে রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ কাকা রমেশ অরোরাকে হোয়াটস অ্যাপে ভিডিওকল করেন গুলশন। ঘরের অবস্থা ভিডিও কলে কাকাকে দেখান তিনি। ঝিলিমিলি এলাকার বাসিন্দা কাকা পরিস্থিতি বুঝতে পেরে চরম সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করেন। প্রয়োজনে আর্থিকভাবে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কয়েক মিনিটের ভিডিও কল শেষ করে চরম সিদ্ধান্ত নেন গুলসন বাসুদেবা।
গাজিয়াবাদের এসএসপি সুধীরকুমার সিং জানিয়েছেন, কয়েক মাস ধরেই গুলশনের ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছিল। এক মাস আগে, বাড়ির পরিচারিকাকে ছাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সব কিছু ঠিক আছে বোঝাতে, আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে গরম জামা-কাপড় বিলি করেন। কেউ ঘূণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি, এতবড় ঘটনা ঘটতে চলেছে। পাঁচটি দেহের শেষকৃত্য একসঙ্গে হবে কি না, সে প্রসঙ্গে সুধীরকুমার সিং জানান, ‘সেটা তাঁর পরিবার এবং আত্মীয়রা সিদ্ধান্ত নেবেন। যে ১০ হাজার টাকা গুলশন বাসুদেবা রেখে গিয়েছিলেন, তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’