অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
সোমবার একটি মারাঠা টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে ২০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। যে বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চরমে ওঠে। বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত ছিল, মহারাষ্ট্রের সরকার গঠনে বিজেপি-এনসিপি হাত মেলাতে চলেছে। যার বদলে শারদ পাওয়ারকে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি এবং কন্যা সুপ্রিয়া সুলেকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। এই জল্পনার কিছুটা হলেও সত্যি বলে জানান শারদ পাওয়ার। টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি করার কোনও প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী দেননি। তবে, একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পাশাপাশি, সুপ্রিয়াকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সেই সব প্রস্তাব সসম্মানে খারিজ করেন মারাঠা স্ট্রংম্যান। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভালো। চিরদিন সেটা বজায় থাকবে। কিন্তু একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়।
বহু চর্চিত সেই বৈঠক প্রসঙ্গে শারদ কন্যা সুপ্রিয়া সুলের টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি মিটিংয়ে ছিলাম না। দু’জন সিনিয়র নেতার মধ্যে কথা হয়েছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর উদারতা যে তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মতাদর্শগত পার্থক্য থাকলেও মহারাষ্ট্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ককে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়।’ এরপরই সঞ্চালকের পাল্টা প্রশ্নের উত্তরে সুপ্রিয়া বলেন, ‘আপনি জানেন তো পাওয়ারজি কি বলেছিলেন, সসম্মানে না বলেছিলেন।’ ৭৯ বছরের শারদ পাওয়ার মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের জোট সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সুপ্রিয়া সুলের মতে, ‘পাওয়ারজি শুধু আমার বাবা নন। উনি দলের বস। আপনারা তো জানেন, বস সর্বদা সঠিক।’ পাশাপাশি, অজিত পাওয়ারের ভবিষ্যৎ দল ঠিক করবে বলে জানান। ২৩ নভেম্বর হঠাৎই ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন অজিত পাওয়ার। তারপর নাটকীয়ভাবে পদত্যাগ করে পুরনো শিবিরে ফিরে আসেন। বিভিন্ন মহলের মত, উদ্ধব থ্যাকারের মন্ত্রিসভায় ফের উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন অজিত পাওয়ার। গত সপ্তাহে অবশ্য তেমনটা দেখা যায়নি। ছ’জন মন্ত্রীকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন উদ্ধব থ্যাকারে। এখন অজিত পাওয়ারের কী হবে? উত্তরে সুপ্রিয়া সুলে বলেন, ‘দল সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা পাঁচ ভাইবোন। অজিত সবার বড়। যদি ছোটরা ভুল করে, তাহলে কান ধরে শিক্ষা দেওয়া যায়। কিন্তু উনি আমার বড়। কান ধরার অধিকার শুধুমাত্র তাঁর আছে।’ অন্যদিকে, অজিত পাওয়ারের সঙ্গে বিজেপির সখ্যতা বাড়ার বিষয়টি তিনি জানতেন বলে জানালেন শারদ পাওয়ার। দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে অজিত পাওয়ারের আলোচনার বিষয়টি তিনি অবগত ছিলেন। শারদ পাওয়ার বলেন, ‘আমি কিছু জানতাম না, এটা বলা ভুল হবে।’