সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি, ৩ ডিসেম্বর: ভারত মহাসাগরে কমপক্ষে আটটি চীনা রণতরী দীর্ঘদিন ধরেই ঘোরাফেরা করছে। এর মধ্যে মাঝেমধ্যেই কয়েকটি রণতরী ঢুকে পড়ছে ভারতরে বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে। সম্প্রতি পোর্টব্লেয়ারের কাছে ভারতের সমুদ্রসীমার মধ্যে একটি স্পেশাল ইকনমিক জোনে ঢুকে পড়েছিল একটি চীনা নৌবাহিনীর জাহাজ। ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে সেই সংবাদ আসার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ নজরদারি জাহাজ পাঠানো হয়। দেখা যায়, ওই চীনা জাহাজ ভারতের অভ্যন্তরে গোপনে কোনও গবেষণা করছে। আরও কিছুদিন তদন্ত ও নজরদারির পর ভারতীয় নৌবাহিনীর স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয় যে, চীনা জাহাজটি আদতে ভারতের অন্দরে সমুদ্র সীমা ও সামুদ্রিক অর্থনৈতিক জোনে ভারতীয় কার্যকলাপের উপর চরবৃত্তির কাজেই নিযুক্ত ছিল। ওই চীনা জাহাজকে ভারতীয় সমুদ্রসীমা থেকে এরপর বহিষ্কার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। আজ ভারতের নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং বলেছেন, চীনের আটটি রণতরী সর্বদাই দেখা যাচ্ছে ভারত মহাসাগরে ভারতের নাকের ডগায় মোতায়েন করা আছে। সেই কারণেই ভারতকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতের সমুদ্রসীমা এবং বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে কোনও গবেষণার কাজেও প্রবেশ করার দরকার হলে ভারতের নৌবাহিনীর অনুমতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে সেই অনুমতি ছাড়াই ওই চীনা জাহাজ গবেষণার কাজ চালাচ্ছিল। তাই বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ভারত সম্পূর্ণ তৈরি রয়েছে যে কোনও রকম আক্রমণের মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে।
অ্যাডমিরাল করমবীর সিং বলেছেন, ভারতের তিনটি এয়ারক্র্যাফট কেরিয়ার রণতরীর পরিকল্পনা রয়েছে আপাতত। ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তির এয়ারক্র্যাফট কেরিয়ার রণতরী ২০২২ সালের মধ্যেই পুরোদস্তুর চালু হয়ে যাবে। ভারত মহাসাগরে চীনের আগ্রাসী মনোভাব প্রতিরোধ করতে ভারত অন্য উপকূলবর্তী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে একটি সমন্বয় গড়ে তুলবে। অ্যাডমিরাল সিং বলেছেন, সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে একজোট হয়ে সমুদ্র নীতি নিয়ে অগ্রসর হবে ভারত।