গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
নির্বাচনী বেয়ারার বন্ডের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলকে যেকোনও মূল্যের অনুদান দেওয়া যায়। কে বন্ড কিনছে, কাকে দেওয়া হচ্ছে তা স্টেট ব্যাঙ্ক জানতে পারছে। তাই এ ব্যাপারে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থাই খোলামনে অনুদান দিতে দুবার ভাববে বলেই অভিযোগ। সম্প্রতি আরটিআইয়ের এক জবাবে নির্বাচনী বন্ডের বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি এ ধরনের অনুদানের ৯৫ শতাংশই পেয়েছে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। তাই আজ এ ব্যাপারে এদিন লোকসভায় সরব হন কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। রাজ্যসভাতেও একইভাবে বিষয়টি উত্থাপন করেছে সোনিয়া গান্ধীর দল। দলের এমপি কপিল সিবাল বলেন, আগে এই বন্ডের ফলে কালো টাকা সাদা হচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে সরকারকে স্পষ্ট জবাব দিতে হবে। সংসদে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে বলে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন কংগ্রেসের লোকসভার এমপি মণীশ তিওয়ারি। তিনি বলেন, কর্ণাটক নির্বাচনের আগে কেন এই বন্ড প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হস্তক্ষেপ করেছিল, তা সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে। এ ধরনের নির্বাচনী বন্ড ভারতীয় অর্থনীতি এবং নির্বাচনে প্রভূত প্রভাব পড়বে বলেই মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদিকে, বাংলায় বিনিয়োগের লক্ষ্য তথা জিএসটি সংক্রান্ত এক বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি এসেছিলেন রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি রাজ্যের জিএসটি পাওনা আটকে রাখার জন্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। বলেন, আগস্ট থেকে অক্টোবর, তিন মাস আমাদের পাওনা দিচ্ছে না কেন্দ্র। সব মিলিয়ে ২ হাজার ১৪৩ কোটির টাকার মতো পাবে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু তা তো দিচ্ছেই না, উল্টে কেন আটকে রাখা হয়েছে, কবে দেওয়া হবে, জিএসটিতে যে জালিয়াতি হচ্ছে, সেসব নিয়ে সরকার কোনও টুঁ শব্দ করছে না। অমিত মিত্র বলেন, কেন্দ্র টাকা ছাপাতে পারে। রাজ্য তো পারে না। তাই পাওনা না মেটালে রাজ্যের ঋণ ক্রমশ বেড়ে যাবে। তা মেটানোর দায়িত্ব কি কেন্দ্র নেবে?