বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ছত্তিশগড় সরকারের শিক্ষা দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র বিজাপুরেই মাওবাদী সন্ত্রাসের জেরে ৩০০টি স্কুল বন্ধ। স্কুল খোলা সম্পর্কে বিজাপুরের জেলাশাসক কে ডি কুঞ্জম জানিয়েছেন, ‘প্রত্যন্ত এবং অত্যন্ত স্পর্শকাতর ওই সব এলাকার মানুষের মন থেকে আতঙ্ক মুছতে শিক্ষাকেই মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। তাঁদের শিশুদের যথার্থ শিক্ষা দেওয়াই এখন প্রধান কর্তব্য।’ তিনি আরও জানান, ৭০০ পড়ুয়া ইতিমধ্যেই স্কুলে নাম লিখেয়েছে। তাদের স্লেট, বই, খাতা এবং মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্কুলগুলি চালু করার আগে, স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে সরকারি উদ্যোগে কথা বলা হয়। শিক্ষার গুরুত্ব তাঁদের বোঝানো হয়। শিশুদের উপরও একটি সমীক্ষা হয়। এখন পড়ানোর জন্য এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের নিয়োগ করা হবে। তাঁদের ‘শিক্ষা-দূত’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এমনই এক শিক্ষা-দূত সুরেশ কুরসাম জানান, গারোনা গ্রামের বাসিন্দারা নতুন করে স্কুল খোলায় ভীষণই উত্তেজিত। ২০০৭ সাল থেকে স্কুলটি বন্ধ হয়ে পড়ে ছিল। তখন থেকে গ্রামের কোনও শিশু স্কুলে যায়নি। যার ফলে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে অশিক্ষার হার দ্রুত বেড়েছে। গত ১৫ দিনে ৫৫টি শিশু নাম নথিভুক্ত করিয়েছে। সরকারি তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, ছত্তিশগড়ের শহরাঞ্চলে শিক্ষার হার ৮০.২৭ শতাংশ। যা দেশের মোট অনুপাতের থেকে অনেক বেশি। তবে, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার হার ৫০ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছে।