বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, গান্ধী পরিবারের পাশ থেকে এসপিজি (স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ) নিরাপত্তা সরিয়ে দিয়েছে মোদি সরকার। যার জন্য সোনিয়া গান্ধীকেও আর পাঁচজন সাধারণ এমপির মতোই সংসদ ভবনের যেকোনও গেট দিয়ে বেরতে হচ্ছে। নিরাপত্তা বলয়হীন সোনিয়া গান্ধীর কাছে যে কেউ চলে আসছে বলে অভিযোগ। তাই গতকাল লোকসভায় বিষয়টি নিয়ে সরব হওয়ার পর স্পিকারের কাছে যান লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীরবাবু। স্পিকারকে বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ করেন। তারই জেরে আজ থেকে সোনিয়া গান্ধীর জন্য সংসদে বিশেষ ব্যবস্থা হয়েছে।
অন্যদিকে, স্পিকার ওম বিড়লার নির্দেশ মেনে আজ লোকসভায় কংগ্রেস এমপিরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ না দেখালেও চাল সংগ্রহের প্রশ্নে সরব হল তারা। প্রতিবাদে ওয়াক আউটও করল কংগ্রেস। ছত্তিশগড়ে এখন ভূপেশ বাঘেলের নেতৃত্বে সরকার চলছে। বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের অভিযোগ, ছত্তিশগড় দেশের মধ্যে অন্যতম চাল উৎপাদক রাজ্য হলেও সেখান থেকে চাল সংগ্রহে রাজনীতি করছে মোদি সরকার। তাই এদিন প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হতেই সভায় উপস্থিত সোনিয়া গান্ধীর পরামর্শ মতো সরব হন অধীররঞ্জন চৌধুরী।
তিনি বলেন, চাল সংগ্রহ নিয়েও রাজনীতি করবে মোদি সরকার? এটা তো যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী। অধীরবাবুর বলা শেষ না হলেও তাঁর সামনের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। খোদ সোনিয়া গান্ধীকে এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলতে শোনা যায়, হোয়াট ইজ দিজ! মাইক কেন বন্ধ করে দেওয়া হবে? বলতেও দেওয়া হবে না! সোনিয়া গান্ধীর এই মন্তব্যে বাড়তি উৎসাহ পেয়ে চাল সংগ্রহেও রাজনীতির করা হচ্ছে বলে অভিযোগের তীব্রতা চড়িয়ে বিক্ষোভে সরব হন। বলেন, মোদি সরকার কৃষকদের উপার্জন দ্বিগুন করবে বলে স্লোগান তুলেছে, আর তাদের উৎপাদিত চালই কিনছে না? কংগ্রেস শাসিত রাজ্য বলে ছত্তিশগড়কে এভাবে রাজনীতির শিকার করা চলবে না। সোচ্চার হন অধীরবাবু। সমর্থনে পিছনে দাঁড়িয়ে গলা মেলার দলের এমপিরা।