রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
কাশ্মীর প্রসঙ্গে একগুচ্ছ প্রশ্নের জবাবে এদিন তিনি জানান, রাজ্যের তকমা সরিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে পরিগণিত হওয়ার পর, গত ৫ আগস্ট থেকে উপত্যকায় একজনও পুলিসের গুলিতে মারা যাননি। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ তকমা সরিয়ে নেওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন উপত্যকায় হত্যালীলা আরও বাড়বে, আরও বেশি রক্ত ঝরবে। কিন্তু বাস্তবে তা কিছুই হয়নি। শুধুমাত্র কিছু সংবেদনশীল এলাকায় রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি রাখা হয়েছে। কিন্তু সরকারি অফিস, স্কুল-কলেজ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ব্যাঙ্ক, সংবাদমাধ্যম— প্রতিটি জায়গাই পুরোদমে চালু রয়েছে। সমস্ত টিভি চ্যানেল চালু রয়েছে। বিক্রি বেড়েছে সংবাদপত্রেরও। চালু রয়েছে আদালতও। সদ্যসমাপ্ত ব্লক ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনেও কোনও গোলমাল হয়নি। নির্বিঘ্নেই গোটা ভোটপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জি কৃষ্ণ রেড্ডিও রাজ্যসভায় জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর থেকে স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের প্রায় ৯৮ শতাংশ উপস্থিতি রয়েছে। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও চলছে। এই পরীক্ষাগুলিতে পড়ুয়াদের ৯৯.৪৮ শতাংশ উপস্থিতি রয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, উপত্যকাজুড়ে পড়ুয়াদের গতিবিধির উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি।
জম্মু ও কাশ্মীরের ইন্টারনেট পরিষেবা প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ আরও জানিয়েছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র এখনও উপত্যকার শান্তি বিঘ্নিত করতে চাইছে। সেই কারণে ইন্টারনেট পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু খুব শীঘ্রই তা চালু করা হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, বিজেপির হাত ধরেই ২০০২ সালে কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা এবং ২০০৩ সালে মোবাইল পরিষেবা চালু হয়েছিল।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর কাশ্মীরে পাথর ছোঁড়ার ঘটনাও যে অনেকটাই কমেছে, তাও তথ্য তুলে ধরে দেখিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে ৮০২টি পাথর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে এখনও পর্যন্ত সেই সংখ্যাটি ৫৪৪-এ পৌঁছেছে।
অমিত শাহ কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কথা ঘোষণা করলেও বুধবার শ্রীনগর সহ কাশ্মীরের বেশ কিছু জায়গায় দোকানপাট ছিল বন্ধ। সূত্রের খবর, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে কয়েকটি জায়গায় পোস্টার দিয়েছে জঙ্গিরা। এরপরেই শ্রীনগরের বেশ কয়েকটি জায়গায় সমস্ত দোকানপাট বন্ধ ছিল। মধ্য কাশ্মীরের গান্ধেরবাল এবং দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগেও দোকানপাট ছিল বন্ধ। যানবাহনও বিশেষ চোখে পড়েনি। যদিও উপত্যকার অন্যান্য অংশে জনজীবন ছিল স্বাভাবিক।
অপরদিকে, কাশ্মীরে বিদেশি প্রতিনিধিদের সফর নিয়ে মুখ খুলল কেন্দ্র। বুধবার সংসদে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে প্রতিনিধিদল কাশ্মীরে গিয়েছিলেন, তাঁরা ‘ব্যক্তিগত সফর’ উপলক্ষে ভারতে এসেছিলেন। রাজ্যসভায় এক লিখিত বিবৃতি দিয়ে একথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জি কৃষ্ণ রেড্ডি।