মুম্বই, ২০ নভেম্বর (পিটিআই): বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতের অধ্যাপক ফিরোজ খানের পাশে দাঁড়ালেন বলিউডের অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। মুসলিম অধ্যাপকের কাছে সংস্কৃত পড়বেন না বলে এবিভিপি সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের কড়া সমালোচনা করলেন পরেশ রাওয়াল। ওই অধ্যাপকের পাশে দাঁড়িয়ে ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, অধ্যাপক ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে যা চলছে, তাতে আমি স্তম্ভিত। ধর্মের সঙ্গে ভাষার কী সম্পর্ক? তবে সবথেকে পরিহাসের বিষয় হল, সংস্কৃতে এমএ এবং পিএইচডি করেছেন অধ্যাপক ফিরোজ খান। তাঁর বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ বন্ধ হোক। এব্যাপারে পরেশ রাওয়াল আরও একটি ট্যুইট করেছেন। লিখেছেন, তবে তো মহম্মদ রফিজির ভজন গাওয়া কিংবা নওশাদজির ভজন লেখা উচিত হয়নি। ২০১৮ সালে সংস্কৃতে পিএইচডি অর্জন করেন ফিরোজ খান। সম্প্রতি তাঁকে সংস্কৃতের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁর নিয়োগ নিয়ে অশান্তি শুরু হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাকেশ ভাটনগর বলেন, অধ্যাপক ফিরোজ খান ওই পদের জন্য সবথেকে উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। সিলেকশন কমিটি ইউজিসি’র সমস্ত গাইডলাইন মেনেই তাঁকে নিয়োগ করেছে। সমস্ত ধর্ম, জাতি এবং লিঙ্গকে সমানধিকার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিদ্যা ধর্ম বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফিরোজ খানের কথায়, আমি দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে সংস্কৃত শিখতে শুরু করেছিলাম। আমার এলাকায় প্রায় ৩০ শতাংশ মুসলিমদের বাস। সংস্কৃত পড়া নিয়ে আমায় কেউ কখনই বাধা দেননি। এলাকার বিশিষ্ট হিন্দুরা সংস্কৃতে জ্ঞান থাকার জন্য আমার প্রশংসা করেছেন। অথচ যখন আমি শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছি, তখন আমার ধর্মটাই যেন মূল বিষয় হয়ে উঠেছে। আত্মবিশ্বাসী ওই অধ্যাপক অবশ্য বলেন, আমি ভালো পড়াতে পারলে, পড়ুয়ারা অবশ্যই আমাকে পছন্দ করবে।