পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তবু এত অবিশ্বাস সত্ত্বেও কেন এই সম্ভাবনা? কারণ, শিবসেনা শারদ পাওয়ারের রাজনৈতিক কৌশলকে সমীহ করছে। শিবসেনার ধারণা, বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন আটকাতে শারদ পাওয়ারকে আগামীদিনে রাষ্ট্রপতি হওয়ার অফার দিচ্ছে। এরকম একটা খবর গত ২৪ ঘন্টায় শোনাও যাচ্ছে। যদিও কোনও তরফ থেকেই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। ওই প্রস্তাব পেলে বাস্তবে শারদ পাওয়ার কী করবেন সেটাও আগাম আন্দাজ করা সম্ভব নয়। আজ শিবসেনা মুখ্যপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেছেন, শারদ পাওয়ারের মনের কথা বুঝতে গেলে একশোবার জন্মগ্রহণ করতে হবে। তবে তিনি আজও বলেছেন, ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই মহারাষ্ট্রের সরকার হবে শিবসেনার নেতৃত্বে। বৃহস্পতিবার উদ্ধব থ্যাকারে শিবসেনার ৫৬ জন বিধায়কদের জরুরি বৈঠকে ডেকেছেন।
তবে জানা যাচ্ছে, কংগ্রেস ও এনসিপির একজন করে উপ মুখ্যমন্ত্রী হবেন এবং উদ্ধব থ্যাকাবে হবেন পাঁচ বছরের মুখ্যমন্ত্রী। এই ফর্মুলা নিয়েই শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপির মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সুতরাং এখন শুধু রাজ্যপালের কাছে গিয়ে সরকার গঠনের দাবি করতে হবে। শিবসেনা এই দাবি করলেও কেন এই তিন দলের কাছে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও এখনও সরকার গড়ার দাবি জানানো হচ্ছে না, তা নিয়ে রহস্য রয়েই যাচ্ছে। শিবসেনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের অন্দরে এখনও দ্বিধা যে রয়্যেছে সেরকমই মনে করা হচ্ছে। তাই না আঁচালে বিশ্বাস নেই। শিবসেনার সঙ্গে একবার গাঁটছড়া বাঁধলে আগামীদিনে কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষতার ভাবমূর্তি ধাক্কা খাবে বলেই কংগ্রেসের অন্দরে একাংশের আশঙ্কা। এই অংশটির মনোভাব হল, প্রয়োজনে বিরোধী আসনেই বসলে সাধারণ মানুষ ও ভোটব্যাঙ্কের সহানুভূতি ও সম্মান পাওয়া যাবে। বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ মনে করছে কংগ্রেস যদি শিবসেনার সঙ্গে সরকার গঠন করে, সেটা দীর্ঘমেয়াদে বিজেপির পক্ষেই লাভদায়কই হবে। এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই বিজেপিকে অস্বস্তিত ফেলে আজ শিবসেনা বলেছে, এনডিএ জোটে এরকম বেশ কয়েকটি দল রয়েছে, যারা আজ নয় কাল এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসার জন্য তৈরি। কেউ বিজেপির একক শক্তিপ্রদর্শনের কারণে সন্তুষ্ট নেই।