বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, ‘পুলিশ লাঠি চালানোয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছেন। এসএফআইয়ের দিল্লি সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অনেকেরই হাত ভেঙেছে, মাথা ফেটেছে পুলিশি বর্বরতায়। সফদরজং কমপ্লেক্সের সামনে পুলিশ কার্যত আক্রমণ করেছে পড়ুয়াদের। ঐশী ঘোষ সহ কয়েকজন ছাত্র নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। এসএফআইয়ের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নীতিশ নারায়ণনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ এর প্রতিবাদে আরও বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে এসএফআই। এদিন দুপুরে ছাত্র বিক্ষোভের জেরে উদ্যোগ ভবন, প্যাটেল চক, সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েটের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মেট্রো স্টেশনের প্রবেশ এবং প্রস্থান পথ বন্ধ করে দেয় দিল্লি মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। কারণ এইসব মেট্রো স্টেশনই সংসদ ভবন সংলগ্ন। এবং আজ থেকেই শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এমপিদের মতো ভিআইপির যাতে সুরক্ষা ব্যবস্থা কোনওভাবেই বিঘ্নিত না হয়, সেই কারণে শুরু থেকেই বাড়তি উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন।
আর সেই বাড়তি উদ্যোগ নিতে গিয়েই ছাত্রছাত্রীদের উপর বেধড়ক লাঠি চার্জ করেছে তারা, এমনই অভিযোগ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। জেএনইউয়ের হস্টেল ফি’র মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধির প্রতিবাদে বেশ কয়েকদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। চাপের মুখে কর্তৃপক্ষ বর্ধিত ফি’র আংশিক প্রত্যাহার করলেও ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ থেকে সরেননি। বরং বর্ধিত ফি সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবিতে এদিনের সংসদ ভবন অভিযানের পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা। এ আগে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রায় সাত ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ককে। তারপর থেকে বারবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের ক্লাসে ফেরার আবেদন করলেও তাতে কর্ণপাত করেননি পড়ুয়ারা। এই অবস্থায় আজই একটি তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক।